গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৪:১৭ পিএম
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৪:১৭ পিএম
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ভূগর্ভস্থ পানির বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভূগর্ভস্থ পানির বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন গোদাগাড়ী মডেল থানার (ওসি তদন্ত) শম্ভু চ্দ মন্ডল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রিপা রানী দাস, ডাসকোর সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম খান, কর্মশালায় পানির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন আই ডব্লিউ এম হাই ড্রোজিয়োনাজিষ্ট কামরুল হাসান, সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী আনোয়ারা বেগম, ডাসকোর এরিয়া কো-অডিনেটর মতিউর রহমান, প্রকল্প উপ সহকারী বিপ্লব হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মানিক, হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মহিলা বিষসয়ক কর্মকর্তা নিলুপার ইয়াসমিন, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা তাসলিমা নাসরিন, বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোমেনুল ইসলাম, জাইকার প্রতিনিধি আব্দুল মতিন প্রমূখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের এই উপজেলায় ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় যে পরিমাণ পানি পাম্পের সাহায্যে উত্তোলন করা হচ্ছে সে পরিমাণ পানি ও ভূগর্ভস্থ স্তরে পুনরায় ভরাট বা রিচার্জ হচ্ছে না।
এই অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় আসবে যখন গভীর নলকূপের সাহায্যেও আর পানি পাওয়া যাবে না। ফলে ভবিষ্যতে পানির অভাব পেয়ে পরিবেশের বিপর্যয় হতে পারে। জলবায়ু পরিবেশগত টেকসই ব্যবস্থাপনা অর্জনের জন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সংক্ষিপ্ত সার ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর গল্প হচ্ছে `নিরাপদ জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাত সহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ে তোলা"এবং অভিলক্ষ্য হচ্ছে দূঢ় সমন্বিত ও সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল কার্যকরী কৌশল অবলম্বন এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ন্যায় সঙ্গত সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাত এবং অন্যান্য ব-দ্বীপ সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলা করে দীর্ঘমেয়াদি পানী ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ।
সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহৃত হয় কৃষি খাতে, যা মোট ব্যবহারের প্রায় ৭০ শতাংশ। বরেন্দ্র অঞ্চলে এর ব্যতিক্রম নয় এবং বাসা বাড়ি ১০ শতাংশ ও শিল্প কারখানা ২০ শতাংশ সহ প্রায় সবটাই উত্তোলন করা হয় ভূগর্ভস্থ উৎস হতে। তাই সবাইকে পানির অপচয়রোধে সচেতন হতে হবে।
এইচআর