Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ফরিদপুরে ডেঙ্গু রোগীর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম


ফরিদপুরে ডেঙ্গু রোগীর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগে চিকিৎসাধীন ঝর্ণা খাতুন(২৩) নামে এক রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে। স্যালাইন পুশ করার পর রোগীর শরীরে খিঁচুনিসহ নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই রোগীর বাবা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঝর্ণা খাতুন বোয়ালমারী পৌরসভার লোকনাথ গ্রামের সুলতান শেখের কন্যা।

ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পৌরসভার লোকনাথ গ্রামের সুলতান শেখের মেয়ে ঝর্না খাতুনকে বোয়ালমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এসময় হাসপাতালের সার্জন ডা. সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন ঔষধের মধ্যে স্যালাইন দেন। পরে স্যালাইন পুশ করার পর রোগীর শরীরে খিঁচুনিসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। এভাবে তার শরীরে দুই ব্যাগ স্যালাইন পুশ করার পর দেখা যায় স্যালাইনের মেয়াদ নেই। হাসপাতাল থেকে দেওয়া স্যালাইনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। একটি স্যালাইনের প্যাকেটে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩। আরেক ব্যাগ স্যালাইনে ৭/ ২০২৩ লেখা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ৬/২০২৩ লেখা।

এ ব্যাপারে রোগীর স্বজন বিল্লাল শেখ বলেন, আমার ভাতিজি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার স্যালাইন দেন। কিন্তু স্যালাইনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তা শরীরে পুশ করার পর চোখ-মুখ উল্টিয়ে যায় যায় অবস্থা হয়। এখনও সে খুবই অসুস্থ।

এ ব্যাপারে রোগী বাবা সুলতান শেখ বলেন, আমার মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার বিভিন্ন ঔষধের মধ্যে স্যালাইন দেন। স্যালাইন শরীরে পুশ করার পর খিঁচুনিসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। একপর্যায়ে মৃত্যুর মতো অবস্থা হয়ে পড়ে। পরে দেখা যায় হাসপাতাল থেকে যে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ। আমার মেয়ে এখনও খুবই অসুস্থ। জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কি হয় বলা যায়না। এ বিষয়ে আমি হাসপাতালের কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল নাম্বারটা সঠিক নয় এবং রং নাম্বার বলে জানান। পরবর্তীতে মোবাইল নাম্বারটা বন্ধ করে রাখেন।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম এম নাহিদ আল রাকিব এর মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তিনি একাধিকবার ফোন দেওয়ার কারনে ক্ষিপ্ত হন।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করা উচিৎ হয়নি। এটা অন্যায়,গাফলতি। এ বিষয়ে আমার নিকট ডুকুমেন্টসহ লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এআরএস

Link copied!