পিরোজপুর (মঠবাড়িয়া) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০২:১৪ পিএম
পিরোজপুর (মঠবাড়িয়া) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০২:১৪ পিএম
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখলের মহোৎসব চলছে। এতে খাল সংকুচিত হবার পাশাপাশি নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঠবাড়িয়া প্রথম শ্রেণির পৌরসভার বহেরাতলা এলাকায়, দক্ষিণ বন্দর স্লুইজগেট- পিয়াজহাটা, হাসপাতাল সম্মুখ খালে এক কিলোমিটার, দক্ষিণ বন্দর স্লুইজগেট-আন্দারমানিক দেড়কিলোমিটার, মঠবাড়িয়া-গুলিশাখালী, মঠবাড়িয়া-সাপলেজা সড়কের খালেরপাড় এলাকা প্রভাবশালীরা দখল করে কয়েক শহস্রাধিক পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
এদিকে উপজেলার সাপলেজা বাজারের পশ্চিম অংশে আলিশ্যার মোড় এলাকায় খাল দখল করে শতাধিক পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে সাপলেজা ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজারে, মিরুখালী, বড় মাছুয়া, তুষখালী ইউনিয়নের জানখালী বাজার, গুদিঘাটা বাজার, হলতা গুলিশাখালী, আলগী পাতাকাটা বাজারসহ উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় খালের দু‘পাশ দখল করে প্রভাবশালীরা কাঁচা-পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
মাঝেমধ্যে সচেতন মহল স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীরা খালের পাড় দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িসহ নানা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং অব্যাহত রাখছে। অপরদিকে খালের দুই তীর সংশ্লিষ্ট জনবসতির ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্যসহ অসংখ্য বাসাবাড়ির শৌচাগারের পাইপ সংযোগ থাকায় খালের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। প্রভাবশালীরা যেন দখলের প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছে।
পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী হায়দার বলেন, বহেরাতলা তিন খালের মোহনা ভূমিদস্যুরা যেভাবে খাল ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে এতে মনে হচ্ছে এদের বাপ দাদার সম্পত্তি। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অদূর ভবিষ্যতে এখানে খাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, সরকারি খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এ খাল চারটি বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে।
পৌর প্রশাসক মো. আরিফ উল-হক বলেন, সম্প্রতি পৌর শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অবৈধ দখলদারদের কারণে পানি সরবরাহ করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়েছে। তিনি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালের পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতি ফেরাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পিরোজপুর জেলা পরিষদ সদস্য (মঠবাড়িয়া) অধ্যক্ষ মো. আজীম উল হক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার ততটা ধারণা ছিলো না। সামনের জেলা পরিষদ সভায় বিষটি উত্থাপন করা হবে এবং কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জামাল/এআরএস