লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
অক্টোবর ১, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
অক্টোবর ১, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের পার আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামের ৩শ’ পরিবারের ঘরবাড়ি মধুমতী নদীর করাল গ্রাসে বিলীন। রোববার (১ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙনের দৃশ্যপট।
এলাকাবাসীর বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩ থেকে ৪ বছর ধরে মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আছি। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা তা খুবই নগন্য। আমরা চলতি বছর কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। আমরা এখন সর্বশান্ত, আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। দু’ গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার নদী ভাঙ্নের ঝুঁকিতে আছি। এই ভাঙন পায় ২ কিলোমিটার বিস্তৃত।
আমডাংগা গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, ‘সারারাত্রি গাংগের কূলে বসে থাহি কন্নে যেন নিয়ে যায় আমার শেষ সম্বল বসতভিটা।’
পার আমডাঙ্গা গ্রামের আ. সবুর খান, নুর আলম মাস্টার, সোহাগ মাস্টার, ও জাহেদা বেগম, রাসেল মোল্যা, রাজীব মুন্সিসহ এলাকাবাসী জানান, ‘আমাদের গ্রামের শতবর্ষের মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি সর্বনাশা মধুমতি নদীর করাল গ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত নদী ভাঙনরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য প্রায় দুই বছর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমি এমপি থাকি বা না থাকি আপনাদের নদী ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক নদী ভাঙনরোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছি।
নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ২০২০/২১ অর্থ বছরে নদী ভাঙনরোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। তবে; সেটিও এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ওই এলাকার ভাঙনের বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদী ভাঙনরোধে কাজ করা হবে।
এ ব্যাপারে নড়াইলের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, নদী ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
এআরএস