আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি
অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম
সাভারে দাফনের ২২ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মো. জামাল হোসেন গোলদার (৫৩) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (০৮ অক্টোবর) সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর এর উপস্থিতিতে সাভার পৌরসভার ঘাসমহলের আল বেদা বাইতুল নুর জামে মসজিদ কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়৷
নিহত মো. জামাল হোসেন গোলদার (৫৩) সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকার মৃত ফরিদ গোলদারের ছেলে। তিনি তেল-মবিল ও খামার ব্যবসায়ী ছিলেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ফোরকান হাকিম (৪৮), লোকমান হাকিম (৫১), গোফরান হাকিম (৪৫) ও কাঞ্চন শীয়ালি ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ (৫৫)।
নিহতের ছোট ভাই মামলার বাদী ইমরান হোসেন গোলদার বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টার দিকে আমার ভাইকে আমাদের বাড়ির পাশেই ফোরকান হাকিমের বাসায় ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ১২ টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে আমার ভাই নাকি অসুস্থ হয়ে গেছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আমার ভাই অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। এ সময় তার মাথায় ও পায়ে আঘাতের ছাপ দেখা যায়। এরই মধ্যে সেই বাড়ির লোকজন আমাকে বলে আমার ভাই স্টক করেছে। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাকরা বলেন তিনি মারা গেছেন৷ পরে সে সময় পরিস্থিতি না বুঝে শোকে মর্মাহত হয়ে আমার ভাইকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে ফোনকান হাকিমের বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। পরে আমরা ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে গিয়ে একটি মামলা করি। পরে আজ আদালত থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহদোয়ের উপস্থিততে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
এআরএস