আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ৮, ২০২৫, ১২:৫১ এএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ৮, ২০২৫, ১২:৫১ এএম
ইসরাইলি পণ্য রাখা ও বিক্রি করায় অন্তত ১৫টি রেস্তোরাঁ ও শো-রুমে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে দেশের চার জেলায় ইসরাইলি পণ্য রাখা ও বিক্রি করায় অন্তত ১৫টি রেস্তোরাঁ ও শো-রুমে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেটে দুটি, গাজীপুরে চারটি এবং বগুড়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিক্ষুব্ধ মানুষ ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শো-রুমে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি কোমল পানীয় কোকাকোলা, সেভেন আপ রাখায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানও হামলার শিকার হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল, স্লোগান-সমাবেশ ও ধর্মঘট পালন করেন। সকাল থেকে সারা দেশের জেলা-উপজেলা শহর ছিল প্রতিবাদমুখর।
সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যার যার অবস্থান থেকে পথে নেমে এসে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন, মিছিলে স্লোগান তুলেছেন।
সিলেট : বিক্ষোভ মিছিল থেকে কোমল পানীয় কোকাকোলা বিক্রির কারণে সিলেট নগরীতে ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পাশাপাশি থাকা আন্তর্জাতিক জুতার ব্র্যান্ড বাটাতেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।
গতকাল বিকাল ৩টার দিকে নগরীর মিরবক্সটুলার কেএফসি এবং দরগা গেট এলাকার বাটার শো-রুমে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।’ প্রত্যক্ষর্শীরা জানান, গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে একটি মিছিল কেএফসির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক সেখানে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে। তারা কেএফসির ভেতরে থাকা বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে। তারা লাঠি দিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলে। ভাঙচুরের পর কেএফসি বন্ধ রয়েছে। একই মিছিলের একটি অংশের লোকজন পাশের সড়কের বাটার শো-রুমে গিয়ে হামলা চালায় এবং সেখানকার গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় দোকানের কর্মচারীরা ভয়ে বের হয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
ভাঙচুরের সময় বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাকারী ইসরাইলি কোনো প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এই দেশে। এই কেএফসিতে ইসরাইলি বিভিন্ন কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এটি মেনে নেয়া হবে না। তারা বলেন, চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়; সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নতে হবে। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা স্লোগানে স্লোগানে মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগদান করেন। সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মুখরিত হয়ে উঠে।
বিশ্বব্যাপী ডাকা এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় চলে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি। বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিনি ফিলিস্তিনি’; ‘ইসরাইলের বন্ধুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘বয়কট বয়কট, ইসরাইল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’- স্লোগান দেন। বেলা ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিক্ষোভ চলাকালে নগরীর পাক ভিউ মেডিকেল কলেজের নার্সিং শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানো উচিত। ইসরাইল একটি অভিশপ্ত দেশ; যারা নিরীহ মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।’ বাদ জোহর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামিযে ইসলামিয়া সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এ ছাড়া ছাত্র-জনতা ও তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন ইসলামিক দল, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ করে।
কক্সবাজার : বিক্ষোভ মিছিল থেকে কক্সবাজার পর্যটন জোনের অন্তত পাঁচটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে হলিডে মোড় হয়ে ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী যায়। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, ‘পুলিশ মিছিলের আগেপিছে ছিল। মিছিলের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় মাঝখান থেকে কিছু অতি উৎসাহী মানুষ ইসরাইলি পণ্য রাখার অভিযোগে কয়েকটি রেস্টুরেন্টে পেপসির সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলেছে। কিছু ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে মিছিলে উপস্থিত মুরুব্বিরা তাদের তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণ করেন।’
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘ইসরাইলি পণ্য রাখার অজুহাতে কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় কাঁচ লেগে কয়েকজন পর্যটক আহত হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনের প্রতি সবসময় সংহতি রয়েছে। আজকের বিক্ষোভ মিছিলেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। তবে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের এমন ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য অশনি সংকেত। আমরা ইসরাইলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলত তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর করে পর্যটকদের কেন আহত করা হল? আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।’
সরজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের সুগন্ধা এলাকায় টপ ফ্লোরে কেএফসি এবং এর নিচে পিৎজা হাটের অবস্থান। সেখানে বেশকিছু কাঁচ ভেঙে পড়ে আছে। ভাঙচুরের পর বন্ধ করা হয়েছে পিৎজা হাট। তবে খোলা রয়েছে কেএফসি। কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, ‘মূলত কেএফসির ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা হঠাৎ মিছিল থেকে ইট-পাটকেল মারা শুরু করে কেএফসি লক্ষ্য করে। তবে কেএফসি ওপরের ফ্লোরে হওয়ার এগুলো এসে পড়ে পিৎজা হাটে। আমাদের বেশকিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আপাতত রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি।’ কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল। এই অজুহাতে আমাদের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। আমরাও তো ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি। আমাদের বললে, আমরা সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম। কেন রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হল?’
বগুড়া : ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বের হওয়া মিছিল থেকে বগুড়ার বাটার শো-রুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারীরা শহরের সাতমাথায় এসে বাটার শো-রুমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গ্লাস ভাঙচুর করে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তারা সেখানে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের দাবিতে স্লোগান দেয় এবং ভাঙচুর চালায়। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন। কিছুটা দূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের সামনে তাদের কিছুই করার ছিল না।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘মিছিলের সামনে ও পিছনে পুলিশ ছিল। মিছিল থেকে কে বা কারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে তা বোঝা যায়নি। তাতে বাটার দোকানের অল্প কিছু ক্ষতি হয়েছে।’ সকাল থেকেই বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় জড়ো হন। প্রতিবাদকারীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানারে সেখানে জমায়েত হন। এ সময় তারা ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দা জানান। মিছিল ও প্রতিবাদ-সমাবেশের কারণে শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। হামলা ও ভাঙচুরের পর দোকান বন্ধ থাকায় বাটার শো-রুমের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম : বিক্ষোভ মিছিল থেকে চট্টগ্রামে কেএফসির দুটি রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বিকালে ‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিল থেকে নগরীর নাসিরাবাদ ও চেরাগী পাহাড় মোড়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া জিইসি মোড়ে আন্তর্জাতিক কোমল পানীয় কোকাকোলার সাইনবোর্ডও ভাঙচুর করা হয়। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে বিকালে নগরীর ষোলশহর থেকে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংহতি জানিয়ে মিছিল বের করা হয়। যেখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন বয়েসি লোকজন অংশ নেন। মিছিলে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে ইসরাইলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিলটি জিইসি মোড়ের দিকে আসার সময় ভেতর থেকে কিছু লোক নাসিরাবাদ সানমার ওশান সিটির পাশের ভবনে কেএফসি রেস্তোরাঁয় ঢিল ছুড়লে সামনের কাচ ভেঙে যায়। সেখান থেকে কিছু লোক জিইসি মোড়ে জামান হোটেলের কোকোকোলার সাইনবোর্ড ও ভাঙচুর করে। এ সময় রেস্তোরাঁটিরও সামনের অংশের কাচ ভেঙে যায়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলায়মান বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে করা মিছিল থেকে কেএফসি রেস্টুরেন্টে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ ছিল।’ চেরাগী পাহাড় মোড়েও কেএফসির একটি রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, মিছিল থেকে সাইনবোর্ডে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি।
গাজীপুর : গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় বাটা শো-রুমসহ কয়েকটি দোকানের সামনে বিলবোর্ড, ব্যানার, ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নূর মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন বলেন, বিক্ষোভকারীরা বিকালে বাটা শো-রুমের বাইরের ব্যানার ভাঙচুর করেছে। তবে শো-রুমের ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা ৩টার দিকে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকা থেকে সর্বস্তরের মুসলিম তৌহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় সেখানে বাটা শো-রুমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, উত্তেজিত জনতা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বোর্ড বাজার এলাকায় সেভেন আপ সম্বলিত ব্যানার বিলবোর্ড ভাঙচুর করেছে। ইসরাইলের পণ্য যেসব দোকানে রয়েছে সেসব তারা রাখবে না বলেছে। এসব পণ্য বর্জন করতে সড়কের পাশে ৩-৪টি দোকানের সামনে বিলবোর্ড, ব্যানার ভাঙচুর করে ছিড়ে ফেলেছে। তবে কোনো দোকান ভাঙচুর করা হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। অপরদিকে বিক্ষোভকারীরা গাজীপুর শহরের শিববাড়ির আশপাশে থাকা বাটা দোকানের সামনে অবস্থান নিতে গেলে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় বলে জানান সদর থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রাজবাড়ী মাঠ এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এছাড়া বাদ আসর গাজীপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর জামায়াতে ইসলামী।