Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

পেঁয়াজ চাষে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

অক্টোবর ২৩, ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম


পেঁয়াজ চাষে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ

লোকশানের কথা মাথায় নিয়েই এবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষিরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। গেল মৌসুমের তুলনায় দিগুণ বেশি খরচে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হবে পেঁয়াজ চাষের।

চাষিরা বলছে অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারদর ভালো থাকলে লাভবান হবেন তারা ৷ তবে চাহিদা  অনুপাতে সরবারহ বেশি হলে লোকসান গুনতে হতে পারে তাদের, তাই বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি চাষিদের।

এদিকে সোমবার উপজেলার বড় সবজির পাইকারি বাজার তারাগুনিয়ায় আমদানি করা পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। তবে পেঁয়াজের সংকট কাটিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণোদনার মাধ্যমে  গ্রীস্মকালীন পেয়াজ চাষে দুইশ জন চাষিকে সহায়তা করেছে কৃষি অফিস যা উঠতে শুরু করবে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।

উন্নতমানের পেঁয়াজ চাষের সুনাম বহন করা ওই উপজেলায় প্রতি মৌসুমে মুড়িকাটা, হালি ও দানা জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়। এর মধ্যে আগাম জাত মুড়িকাটা যা উপজেলার সব ইউনিয়নেয় ইতিমধ্যে চাষ শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষের সম্ভবনা রয়েছে, তবে লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি। এখন পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১৮০০ হেক্টর জমিতে।

একাধিক পেঁয়াজ চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এবার গেলো মৌসুমে তুলনায় বেশি খরচে পেঁয়াজ চাষ করছেন। তারা গেল মৌসুমে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচে পেঁয়াজ চাষ করলেও এবার শুরুতেই ৬৫ থেকে ৭০ হাজর টাকা খরচ করতে হচ্ছে পেঁয়াজ চাষিদের।

বীজের ধরন ভেদে ৩ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজ বীজ। বিঘাপ্রতি ভালো মানের বীজ লাগছে ১০ মন। এছাড়া শ্রমিকের মজুরি, জমির চাষ, সেচ ও সারে খরচ হচ্ছে ১৫ থেক ২০ হাজার টাকা যা গেল বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

জহুরুল সরকার নামের এক পেঁয়াজ চাষি জানান, এবার তিনি তার ৪ বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি তার খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি।

স্বপন  নামে আরেক পেঁয়াজ চাষি বলেন, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করবেন। ৩ বিঘা লাগানো শেষ হয়েছে। তবে লোকসানে বিষয়টি মাথায় নিয়েই তারা চাষ করছেন। দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকলে ভালো দাম পাবার আশা করছেন এ চাষি। 

এবিষয়ে দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান,  এবার পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি। আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কম খরচে গ্রীস্মকালিন পেঁয়াজ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছি আমরা এবছর ৪৭০ জন চাষিকে সহায়তা করেছি আরো ২০০ জনকে  সহায়তা করা হবে। যেন বাজারে কোন প্রকার সঙ্কট তৈরি না হয়।

এআরএস

Link copied!