কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম
পাঁচ বছর পোশাক কারখানায় কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন রাসেল, যা সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। পরে তার বাবা গরু বিক্রি করে ছেলেকে টাকা দেন। সব প্রক্রিয়া শেষে সৌদি আরব যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রাসেল। আজ মঙ্গলবার স্বপ্ন পূরণে বিমান ধরার কথা ছিল। কিন্তু কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন নিমেষেই শেষ হয়ে যায়।
নিহত রাসেল (২২) মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ভরা গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে।
রাসেলের চাচা মো. জাকারিয়া ভূঁইয়া জানান, হাবিবের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে রাসেল বড়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। পর জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে পাড়ি জমান। ২০১৮ সালে রামপুরার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন রাসেল। চাকরির টাকা জমিয়ে ও গরু বিক্রি করে সৌদি আরব যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় তার ফ্লাইট ছিল। এ জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এগারোরসিন্দর গোধূলি ট্রেনে। ভৈরবের জগন্নাথপুর এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
জাকারিয়া আরও বলেন, ‘কথা ছিল ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর, এখন ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তার বাবাকে। এ যে কত বড় কষ্ট, কেউ বুঝবে না। দরিদ্র পরিবারে সঙ্গে এখন যুক্ত হলো সন্তান হারানোর কষ্ট। কেমন করে বাঁচবে তার বাবা-মা।’
এআরএস