হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০১:১৮ পিএম
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০১:১৮ পিএম
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছে হাতিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই এই বৃষ্টি শুরু হয়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার ফলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে নোয়াখালীর নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে।
এদিকে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ অঞ্চলের বাসিন্দা মো. আজিম বলেন, সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও মৃদু বাতাস হচ্ছে। দোকানপাটে মানুষ নেই। বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে আছে। ৭নম্বর বিপদ সংকেতের কথা শুনে আতংকে আছে সাধারণ মানুষ। কারণ প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে নিঝুমদ্বীপের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এদ্বীপের মানুষ।
হাতিয়া আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। সকাল থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে
মৃদু বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের ফলে উপকূলীয় এলাকা নোয়াখালীকে ৭ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে এই সংকেত আরও বাড়তে পারে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, হামুন মোকাবিলায় হাতিয়াতে ২৪২টি সাইক্লোন সেন্টার ও ৩০টি উঁচু স্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে । এছাড়া মানুষের জানমাল রক্ষায় গতকাল সোমবার থেকেই হাতিয়া-বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাট সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব নৌযানকে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এআরএস