টেকনাফ ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০২:৪১ পিএম
টেকনাফ ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০২:৪১ পিএম
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন মঙ্গলবার দুপুরে এক মতবিনিয়ময় আয়োজন করেন। সভায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা।
টেকনাফ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ২৪ ঘন্টার জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করার চজন্য সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সব কর্মকর্তাদের ছুটিতে না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ওপর নির্ভর করে আরও কী কী ব্যবস্থা নেবে তা নির্ধারিত আছে। ক্ষতি কমাতে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে এবং ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এছাড়া স্বাভাবিক জোয়ারের পানির চেয়ে ২-৩ ফুট পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। তবে এখনও লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেনি।
তিনি আরও জানান, দ্বীপে যারা টিন বা বাঁশের তৈরি ঘরে থাকেন, ঝড় আঘাত হানলে তারা সমুদ্র তীর থেকে দূরে বিভিন্ন রিসোর্টে সাময়িক আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সাধারণত চার নম্বর সতর্ক সংকেত দিলে মেগাফোন বা হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালানো হয় সেইসাথে ফ্ল্যাগ ইন অর্থাৎ পতাকা টানিয়ে সতর্ক করা হয়। ফ্ল্যাগ ইনের নিয়ম হল সমুদ্রে চার নম্বর সতর্ক সংকেত দিলে একটি পতাকা, ছয় নম্বর হলে দুটি পতাকা এবং সাত বা এর বেশি সতর্কতার ক্ষেত্রে তিনটি পতাকা টানানো হয়।
এআরএস