রাজবাড়ী প্রতিনিধি
নভেম্বর ৭, ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
নভেম্বর ৭, ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়।
জানা গেছে, দুর্ণীতি দমন কমিশন দুদক ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল বাসারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২য় দিনের মত মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে দুদক টিম। অনুসন্ধানকালে দুদক টিমের সদস্যরা গোয়ালন্দ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত সোলার ইলেক্ট্রিক পোলের গুণগত মান ও সংখ্যা নিরুপণ করেন।
অভিযোগ রয়েছে, পৌর এলাকার অভ্যন্তরে ইতোপূর্বে ২৫টি এবং বর্তমান মেয়াদে আরও ৭৫টি সোলার ইলেক্ট্রিক পোলের বরাদ্দ দেওয়া হলেও এর অনেকগুলোর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের গুণগত মান নিয়েও জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
এছাড়া সোমবার সকালে গোয়ালন্দ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের কাজের অনিয়মের অনুসন্ধান করেন দুদক টিম। এতে দুদক কর্মকর্তাগণ ছাড়াও রাজবাড়ী গণপূর্ত বিভাগ ও রাজবাড়ী এলজিইডি’র প্রকৌশলী ও অভিযোগকারী শহিদ শেখ সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল গোয়ালন্দ পৌরসভার জন্য বরাদ্দকৃত সোলার প্যানেল স্থাপনে অনিয়ম, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) বরাদ্দকৃত অর্থ কোন প্রকার দরপত্র ছাড়াই ব্যায় করা, ময়লা আবর্জনার ভাগারের জমি ক্রয় না করেই এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ২১ লক্ষ টাকা বেনামে উত্তোলন এবং দরিদ্র ও আসহায় ব্যক্তিবর্গের সাহায্যের নামে বরাদ্দের ৮/১০ গুণ অর্থ ব্যয় দেখিয়ে আত্বসাৎ করছে। এছাড়াও পৌর এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাকুরী প্রদানের নামে অর্থ আদায় ও গরু হাট ইজারা প্রদানে অনিয়ম সহ বিভিন্ন সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ দায়ের করেন।
দুর্ণীতি দমন কমিশন দুদক ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল বাসার বলেন, অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার পর রিপোর্ট দাখিল করা হবে। এখনই কিছু বলতে পারবো না। তদন্ত চলমান রয়েছে।
এআরএস