Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

অপারেটরের অভাবে চলছেনা এক্স-রে মেশিন, ভোগান্তি চরমে

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

নভেম্বর ৮, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম


অপারেটরের অভাবে চলছেনা এক্স-রে মেশিন, ভোগান্তি চরমে

উত্তর জনপদের অবহেলিত কাউনিয়ায় প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় নামে মাত্র ৫০ শর্য্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ২২বছরে ১টি এবং ১০ বছরে আরও একটি এক্স-রে মেশিন সচল হয়নি। এছারাও মেডিকেলের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে, আরও কিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘ ১০বছর থেকে স্থায়ী আবাসিক মেডিকেল অফিসার, শিশু, চক্ষু এবং চর্ম ও যৌন বিশেজ্ঞ ডাক্তার নেই।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে এক্স-রে মেশিনটি স্থাপনের বছর খানেকের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বেশ কয়েক বার ভাল করার চেষ্টা করা হয়েছে কিছু দিন চলে আবার নষ্ট হয়ে যায়। মেশিনটি মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি।

পরবর্তিতে গত ১০বছর আগে আর একটি আধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন প্রদান করা হয়েছে কিন্তু সেটিও অপারেটরের অভাবে চালান সম্ভব হয়নি। জরুরী প্রয়োজনে রোগি নিয়ে তাদের রংপুর জেলা সদরে গিয়ে অথবা স্থানীয় ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে অনেক টাকা ব্যয় করে এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে।

উপজেলায় ২টি রেলওয়ে স্টেশন ও রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়ন দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনায় অনেকের হাত-পা ভেঙ্গে যায় তা সনাক্ত করতে এক্স-রে মেশিন প্রয়োজন, কিন্তু মেডিকেলের ২টি এক্স-রে মেশিন থাকলেও  ১টি ২২ অন্যটি ১০ বছর ধরে অচল, ইসিজি ম্যাশিনটিও অপারেটরের অভাবে চলে না, রক্ত সংরক্ষনের রিফ্রেজারটি নষ্ট। বিদ্যুৎ চলে গেলে এটি ভুতুরে বাড়িতে পরিনত হয়। একটি এ্যাম্বুলেন্সের নষ্ট পড়ে রয়েছে।

চিকিৎসা নিতে আসা সাধারন মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বলতে শোনা গেছে সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছানোর অঙ্গিকার সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

সেবা প্রত্যাশি ওয়াহেদ আলী জানান, স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া জনগনের অধিকার কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী তদারকি না করায় এলাকায় জনগন বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ সাদিকাতুন তাহিরিণ জানান শুধু এক্স-রে মেশিনই নয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে, সে ব্যপারেও কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে কিন্তু কোন অগ্রগতি হয়নি। এখানে এক্স-রে অপারেটরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিপুটেশনে রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক জানান স্বাস্থ্য কপপেক্সের নানা সমস্যার কথা জেনেছি। জেলা সমন্বয় মিটিংএ বিষয় গুলো সমাধানের জন্য তুলে ধরবো। এলাকার দরিদ্র জনগন দ্রুত এক্স-রে মেশিনসহ প্রয়োজনিয় যন্ত্রপাতি সচল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট দুর করে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে।

এইচআর

Link copied!