শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০২:০৯ পিএম
ইউটিউব দেখে বাগেরহাটের শরণখোলায় বস্তায় আদা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন সাউথখালীর, দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের কলেজছাত্র রাজিব হোসেন। নিজের পরিত্যক্ত জমিতে আদাচাষের সাফল্য অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ছুটে আসছেন তার এই সাফল্য দেখতে।
রাজিব হোসেন বলেন, প্রথমে ইউটিউবের মাধ্যমে বস্তায় আদা চাষের ভিডিও দেখেন। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হন। প্রথমে ছাই, জৈব সার ও বালু মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করে বস্তায় রাখেন। পরীক্ষামূলকভাবে ৫ কাঠা জমিতে ৩০০ বস্তায় সেই মাটি ভরে টবের মতো করেন তিনি। এরপর প্রতিটি বস্তায় ২টি করে আদার চারা রোপণ করেন। রোপণের মাত্র এক মাসের মাথায় গাছ বড় হতে শুরু করে। এরপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে গাছগুলোর গোড়ায় আদা ধরতে শুরু করেছে।
এভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পতিত জমিতে সীমিত খরচ আর অল্প শ্রম। একেকটি বস্তায় প্রায় দুই কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যাবে। তাই এটি লাভজনক চাষ পদ্ধতি। আদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝেমধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাইরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। বস্তায় আদা চাষ দেখে স্থানীয় অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ চাষ দেখতে আসেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে আদা চাষে জমির চেয়ে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হয় কম। বস্তায় আদা চাষে কীটনাশক এবং পানি লাগে অনেক কম। ফলে যে কোনো স্থানে এভাবে আদা চাষ করা সম্ভব৷ পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসার ছাদে, বেলকোনিতে এবং বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত স্থানেও চাষ করতে পারে। কেউ যদি এভাবে আদা চাষ করতে চায়, তাহলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হবে।
এআরএস