Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

মঠবাড়িয়ায় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধে সয়লাব

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি

নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম


মঠবাড়িয়ায় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধে সয়লাব

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সবত্রই ভেজাল, মানহীন, অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধে সয়লাব। এসব ওষুধ খেয়ে উপকারের চেয়ে মানুষ ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। শহরের চেয়ে গ্রমাঞ্চলের দোকান গুলোতে (ফার্মেসী) এ সকল ওষুধ বেশী বিক্রি হয়।

সচেতণ মহল মনে করেন, মানুষের জীবন-মরনের মাঝখানে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল, মানহীন ওষুধ তৈরী করে ওষুধ বিক্রেতাদের বেশী লাভ দেখিয়ে, ভুল বুঝিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য করে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দোকান গুলোতে এসকল ওষুধ বেশী বিক্রি হয়।

ওধুষের কভার (মোড়ক) দেখে বোঝার কোন উপায় থাকে না। বেশির ক্ষেত্রে লোকজন ডাক্তার দেখিয়ে পেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) করাতে চায় না। এ সুযোগটাই লুফে নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার গুদিঘাটা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী রাজু জানান, নামী-দামী কোম্পানীর ওষুধের আদলে বহু ভূঁইফোড় কোম্পানী ওষুধ তৈরী করে। ওধুষের কভার দেখে বোঝার কোন উপায় থাকে না। গ্রামের অনেক ওষুধ ব্যবসায়ীরা এ ব্যবধান না বুঝে ঔষধ রেখে দেয় এবং বিক্রি করেন।

বড় মাছুয়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান একটি নামী-দামী কোম্পানীর ওষুধ দেখিয়ে বলেন, এটা আগে বিক্রি করতাম ১৫ টাকায় বর্তমানে এটা ৩৫ টাকা। আগে ১ ফাইল ঔষধ খেলে কাজ হতো, এখন ৩ ফাইলেও কোন কাজ হয় না। এছাড়া ভূইভোড় কোম্পানী ওষুধ প্রায় প্রতিটি দোকানেই রয়েছে। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, এটা গোড়া থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা নিবে কে ?

পশ্চিম শাখালী কাঠি গ্রামের দিন মজুর আনোয়ার হোসেন বলেন, তার ছেলের জ্বর হয়েছে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খাইয়েছি কোন কাজ হচ্ছে না। হয়তো ছেলেকে বরিশাল নিতে হবে। একই কথা বললেন উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের খাদিজা বেগম।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পিরোজপুর জেলা সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, আমারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। শনিবার বিকেলে উপজেলার মিরুখালী বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ, অবৈধ এবং নিষিদ্ধ ওষুধ রাখা ও বিক্রির অভিযোগে শরীফ মেডিকেল হল মালিককে ১৩ ও শরীফ মেডিকেল হল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এইচআর

 

Link copied!