ঝালকাঠি প্রতিনিধি
নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম
ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও তিন পৌর কাউন্সিলরসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে আহত মিলনের স্ত্রী মারিয়া ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ঝালকাঠি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফসহ মোট ৩৯ জন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১৬ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে বিএনপির ডাকা অবরোধ বিরোধী মোটরসাইকেল মহড়ার সময় যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দাবিদার সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ সাতজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদদের সঙ্গে সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত মিলনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার বাদী মারিয়া ইসলাম বলেন, গত ১৬ নভেম্বর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিন পৌর কাউন্সিলর জাকির, হাফিজ ও কামালের নেতৃত্বে প্রায় ১৬০ জন সন্ত্রাসী আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আমি তাদের নামে মামলা করেছি। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এইচআর