নভেম্বর ২০, ২০২৩, ০৬:০৭ পিএম
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানাধীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কে. এম. ইউনাইটেড একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ উক্ত বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক নাম বিকৃতির প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি আইনী নোটিশ প্রেরণ করেছেন।
নোটিশ প্রেরণের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,"আমি উক্ত বিদ্যালয়ের ২০১২ এসএসসি ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র। সম্প্রতি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল অ্যাডভাইজর পদে আবেদন করলে ভাইবা বোর্ডে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক নামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদত্ত প্রশংসাপত্রে বিদ্যালয়ের নামে গরমিল পরিলক্ষিত হলে আমাকে বিব্রতবোধ হতে হয়।

আমি বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারাও বিভিন্ন কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ চাকরির ক্ষেত্রেও একই অভিজ্ঞতার কথা স্বীকার করেন। তাই বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক নাম কে. এম. ইউনাইটেড একাডেমির সঙ্গে স্কুল প্রদত্ত প্রশংসাপত্রে ব্রাকেটবন্দি মাঝিরগাঁও শব্দটি যুক্ত করার যুক্তিকতা জানতে চেয়ে নোটিশ প্রেরণ করলাম।"
উক্ত বিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে জানা যায় যে, ১৯৫৫ সালে কাশিমনগর ও মাঝিরগাঁও গ্রামের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণের উদ্যোগে দুই গ্রামের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায় কে. এম. ইউনাইটেড একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।
যে নামটি দাপ্তরিক সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে স্কুলের নামের শেষে অনুমোদনহীনভাবে ব্রাকেটবন্দি করে মাঝিরগাঁও শব্দটি ব্যবহার করায় এলাকার সচেতন মহলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এইচআর