Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

কিডনি নষ্ট জানে আলম বাঁচতে চায়

কেরানীগঞ্জে (ঢাকা) প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে (ঢাকা) প্রতিবেদক

নভেম্বর ২২, ২০২৩, ১১:০৬ এএম


কিডনি নষ্ট জানে আলম বাঁচতে চায়

দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ৪৬টি বছর। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। যখন বুঝতে পেরেছে তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।

কেরানীগঞ্জের জানে আলম আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা।

চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন জানে আলম। তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। স্ত্রী কিংবা স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। আর তাই অভাবের সংসারে তার পরিবারও তার পাশে দাড়াতে পারছে না।

বাবা-মা বৃদ্ধ, ছোট ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী চলে গেছেন বাবার বাড়ি। চিকিৎসার ব্যয়বহুল খরচ স্বজনরা বহন করতে না পারলেও, শুরুতে যে যতটুকু পেরেছে সাহায্য করছে। তবে তারা আর পারছেন না আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে। নিরূপায় হয়ে জানে আলমের পাশে দাঁড়াতে পারছে না কেউ।

বর্তমান তিনি একাই থাকেন। তাই তাকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার প্রতিবেশীরা। জানে আলম  একজন সৌদি প্রবাসী ছিলেন। কিডনী সমস্যার কারণে ২০২১ সালে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্বজনরা তার রোগের কথা শুনে তাকে কেউ আশ্রয় দেয় না। পরে তিনি বাধ্য হয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা সাবান ফ্যাক্টরি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়।

জানে আলম বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে আমি সৌদি আরবে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি আমার দুটো কিডনিতে সমস্যার কথা। পরে সেখান থেকে আমার কোম্পানী বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন। দেশে এসে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে দেখালে সেখানে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ নয়ন রঞ্জন সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন, আমার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। সেই থেকে ডায়ালাসিস করে বেঁচে আছি।

হাসপাতালে যাওয়ার রিকশা ভাড়াটাও নেই আমার কাছে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ডায়ালাসিস করতে হয়। না পারলে আর করা হয় না। প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকার মতো লাগে আমার। দিন দিন আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ডাক্তাররা বলেছে আমার একটি কিডনী প্রতিস্থাপন করতে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন। ঠিক মতো খাবার কিনতে পারি না সেখানে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবো কীভাবে বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।

প্রতিবেশীরা জানান, তার সহায় সম্বল বলে তেমন কিছু নেই। তার পরিবার ও স্বজনদের আর্থিক অবস্থাও ভালো না। তাই তার পাশে কেউই নেই। জানে আলম প্রকৃতপক্ষে খুবই ভালো মানুষ, তার দুই কিডনি নষ্ট হয়ে সে এখন মৃত্যুশয্যায়। তারপরও অসুস্থ শরীর নিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন আর কান্নাকাটি করেন । তার একটি মাত্র ছেলে, বয়স ১৫ বছর। তিনি একাই থাকেন। নিজেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেছে অসুস্থ জানে আলম ও তার প্রতিবেশিরা ।

জানে আলমকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: জানে আলম, ইসলামি বাংক, ডামুড্যা শাখা। হিসাব নম্বর- ২০৫০২৮২০২০০৯৯৩০০২। বিকাশ নাম্বার- ০১৩১৪৪৬০০৩৮ ও  যোগাযোগের নম্বর- ০১৩১৪৪৬০০৩৮

Link copied!