Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪,

জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২৭ জন

সৈয়দপুরে ১৪ প্রতিষ্ঠানে পাশের হার ৯৩.৪৪

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ০৩:৫৪ পিএম


সৈয়দপুরে ১৪ প্রতিষ্ঠানে পাশের হার ৯৩.৪৪

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ১৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে ২৮৬৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২৭ জন। পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.৪৪। অকৃতকার্য হয়েছে ৩০১ জন।

এবার কোন কলেজই শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। সোমবার (২৬ নভেম্বর) এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হিসেবে সবচেয়ে ভালো করেছে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।

ফলে পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৯৯.৭৮ আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৪ জন। এরপর ভালো ফলাফল করেছে লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ। এই কলেজের ৩৮৭ জনের মধ্যে ৩৮৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৯.৪৮ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ জন। সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের ৩২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২৫ জন পাশ করায় পাশের হার ৯৮.৭৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন।

বরাবর সেরা হওয়া প্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে আগের মত থাকলেও পাশের হারে বেশ পেছনে পড়েছে। এখান থেকে পাশ করেছে ২২৩ জন। পরীক্ষার্থী ছিল ২২৬ জন। পাশের হার ৯৮.৬৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৭ জন।

এরপর ভালো করেছে সৈয়দপুর আদর্শ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। নারী শিকার এই কলেজ থেকে পাশ করেছে ১১৯ জনের মধ্যে ১১৭ জন। পাশের হার ৯৮.৩২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। আরেক নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুর পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পাশের হার ৯৪.৪৯। মোট ১২৭ পরীক্ষার্থীর ১২০ জন পাশ করেছে, তবে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।

সৈয়দপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশের হার ৯৪.০১। এই কলেজ থেকে ৪৫১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৪২৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ। এই কলেজের ২৯৮ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২৪৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন, পাশের হার ৮২.৫৫।

গ্রামের কলেজগুলোর মধ্যে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজ। এবার এই প্রতিষ্ঠানের ২ জন জিপিএ-৫ পাওয়াসহ পাশ করেছে ১২৭ জন, ফেল করেছে ২৩ জন, পাশের হার ৮৪.৬৭। এরপর রয়েছে লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজ। এই কলেজের ২১২ জনের মধ্যে ১৭৪ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮২.০৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।

এছাড়া কামারপুকুর ডিগ্রি কলেজের পাশের হার ৭৫.৮৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র একজন। এই প্রতিষ্ঠানের ১৯৯ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৫১ জন। সাতপাই হাইস্কুল এন্ড কলেজের মাত্র ৪ জন পরীক্ষার্থীর ৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৫.০০।

শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে খারাপ করেছে কয়া গোলাহাট হাইস্কুল এন্ড কলেজ। এই কলেজের ১৭২ জন পরীক্ষার্থীর ৭৫ জনই ফেল করেছে। পাশের হার ৫৬.৪০। আর খালিশা বেলপুকুর স্কুল এন্ড কলেজের ৩৯ জনের মধ্যে ১৮ জন ফেল করায় পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৫৩.৮৫। শেষের তিনটি কলেজ থেকে কেউই জিপিএ-৫ পায়নি। (ছবি আছে)

এইচআর

Link copied!