মাগুরা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম
মাগুরা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম
আজ ৭ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদায় মাগুরা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরে একই স্থানে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মো. মশিউদৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডু ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রহমান, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শহরে একটি র্যালি বের হয়। এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬ টায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ব্লাক আউট ও সরকারি দপ্তর, ভায়না মোড়সহ প্রধান প্রধান সড়কে মোমবাতি প্রজ্জলন করার আয়োজন করা হয়।
মাগুরার মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা তৎকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছে। ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে হানাদার বাহিনী আর তাদের দোসরদেরকে কোণঠাসা করে ফেলে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যশোর থেকে পাকিস্তানি সেনাদের একটি অংশ তাড়া খেয়ে মাগুরায় পালিয়ে আসে।
একপর্যায়ে মাগুরায়ও তারা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুবাহিনীকে মাগুরা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা মাগুরা ত্যাগ করে ফরিদপুরের কামারখালী অভিমুখে চলে যেতে বাধ্য হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেন মিয়া এবং মোল্লা নবুয়ত আলীর নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী মাগুরায় প্রবেশ করে প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের মাগুরা ত্যাগ মাগুরার জনতার মাঝে এনে দেয় প্রত্যাশিত স্বাধীনতা। এ সময় মুক্তিপাগল জনতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। এভাবেই ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ মাগুরা হানাদারমুক্ত হয়।
এআরএস