পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম
কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়ায় জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৩নং নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. মহিবুর রহমান( রুবেল) বিরুদ্ধে ওয়ারিশ সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীরহাটি গ্রামের বাসিন্দা মৃত আমীর উদ্দিন স্ত্রী। তার চারটি ছেলে তিন মেয়ে রয়েছে। তার মধ্যে কাজী মাইন উদ্দীন দুলাল তার বড় ছেলে বর্তমানে ‘মা’ মোছা. ফিরোজা আক্তারকে মৃত দেখিয়ে ওয়ারিশান সনদের আবেদন করে শুধু তাই নয় তার তিন বোনকে ওয়ারিশান সনদে বাদ দিয়ে আবেদন করে। বোনরা হলো-পারভীন, রওশনা খাতুন, আকলিমা। তারা তিন বোন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার প্রশাসক বরাবর আবদেন করেন।
সম্প্রতি পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করতে তাদের ওয়ারিশান সনদের প্রয়োজন হয়। সনদের জন্য তারা স্থানীয় মেম্বার মো. মহিবুর রহমানের শরণাপন্ন হন। পারভীন আক্তার মাকে মৃত ও বোনের নাম গোপন রেখে ওয়ারিশন সনদ ইস্যু করেন মেম্বার। এ সনদ ইস্যু করতে মোটা অংকের অর্থের লেনদেন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর ২০২৩ আগস্ট এ সনদ ইস্যু করা হয়।
রওশনা আক্তার বলেন, আমাদের পৈত্রিক জমির কিছু অংশ বিক্রি করতে ওয়ারিশ সনদের দরকার হয়। আমরা জানতে পারি মা কে মৃত দেখিয়ে ওয়ারিশ সনদ করে নেয়া হয়েছে। তবে বড় ভাইয়ের বিষয়টি কেন গোপন করেছেন জিজ্ঞাসা করলে এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বতমানে মো. মহিবুর রহমান রুবেল টাকায় বিনিময় ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন।
ইউপি সদস্য মো. মহিবুর রহমান (রুবেল) বলেন, সরল বিশ্বাসে ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে কোন টাকা পয়সা নেইনি।
ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল বলেন, ওয়ারিশ সনদ যাচাই-বাছাইয়ের দ্বায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারদের। সে অনুযায়ী ওয়ারিশ সনদ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার যাচাই-বাছাই করে আনেন, আমি শুধু স্বাক্ষর করে দেই। কিন্তু মেম্বার যে কাজ করছে তা মোটেও ঠিক করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন বলেন, এটা বড় ধরনের অন্যায়। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা প্রমাণ হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআরএস