গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৫:৫২ পিএম
জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ছুটে যেতেন ঢাকায়। গফরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করতেন। প্রায় প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করতেন। আজই যে শেষ যাত্রা তা জানা ছিলো না সবজি বিক্রেতা মো. আসলাম মিয়ার(৩০)। রেলের নাশকতাকারীদের জন্য জীবন দিতে হলো। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
জানা যায়, আসলাম মিয়া শাক-সবজি, মুরগী, ডিম ও কবুতরের বাচ্চাসহ ১৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের চড়ে গফরগাঁও থেকে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেক্স ট্রেনে যাত্রা করেন। নিয়তির নির্মমতায় প্রাণ গেলো তাঁর। গাজীপুরের ভাওয়াল রেল স্টেশন এলাকায় ইঞ্জিনসহ বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেক্স ট্রেনের দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মৃত মোছলেম উদ্দিনের ছেলে। আসলামের মৃত্যুর সংবাদে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়। রেলে নাশকতাকারীদের জন্য জীবন দিতে হলো লাশ হয়ে বাড়ী ফিরলেন। স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, ২ ছেলে শুভ(১১), আবু রায়হান(২) ও ১ মেয়ে আরিফা(৮)।
আহাজারী করে তিনি আরও বলেন, আমার জামাই নির্দোষ গো আমার জামাইয়ে তো কোন দোষ করছে না।মা হোছনা খাতুন বলেন, আমার সন্তান লাশ হয়ে গেছে। আমি বিচার চাই।
প্রতিবেশী বাদল মিয়া বলেন, আসলাম খুব ভালো লোক ছিলো। কাঁচামাল সবজির ব্যবসা করতো। ২০০১ সালে তাঁর এক চাচা দুদু মিয়া রাজনৈতিক মামলার পর বাড়ী থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আজো হদিস মিলেনি। আজকে আসলামের মৃত্যুতে এই পরিবারের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেছে।
এআরএস