Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪,

সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ১২:১৩ পিএম


সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় মিরপুরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেখানে তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

দৈনিক আমার সংবাদ’র জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-

বাগেরহাট: সকাল ৮টায় বাগেরহাট  শহরের ডাকবাংলোর বধ্যভূমিতে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে একে একে জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সরকারি পিসি কলেজ, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, স্বাস্থ্যবিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, পিটিআই, সড়ক বিভাগ, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল শহীদদের উদ্দেশ্যে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন বাগেরহাট কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। মোনাজাত শেষে ভৈরবের তীরে অবস্থিত বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রেল রোডের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে শহীদ বেদিতে জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এরপর পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। জেলা সদর পানির ট্যাংক সংলগ্ন বধ্যভূমি ও শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবী, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বেলা ১১ টায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 চাঁদপুর: বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ। ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে সকাল ৮টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে চাঁদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে  পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ  শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে  শহীদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শণ করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময়  সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), রাশেদুল হক , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্),  শ্রীমা চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রিভার), মোঃ ইয়াসির আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল),  ডিআইও-১, ডিএসবি,অফিসার ইনচার্জ, সদর মডেল থানা, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা,ইনচার্জ, শহর ও যানবাহন শাখা, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই পুলিশ লাইন্স, চাঁদপুর সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কালাই (জয়পুরহাট) : জয়পুরহাটের কালাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন হয়েছে। সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান- উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন, কালাই পৌরসভা, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠন। এ সময় দেশের সেই সূর্য সন্তানদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে সেখানে স্মৃতিসৌধে মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন। আরও বক্তব্য রাখেন কালাই পৌরসভার মেয়র রাবেয়া সুলতানা, কালাই থানা অফিসার ইনচার্জ ওয়াসিম আল বারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, কালাই ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ধজেনদ্রনাথ,কালাই সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আজিজার রহমান প্রমুখ।

ইবি প্রতিনিধি:  সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিবের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহান সিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার কবির রিমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারহানা নওশীন তিতলী, কার্যনির্বাহী সদস্য সামি, যায়িদ, মোস্তাক মোর্শেদ ও মং সহ অন্যান্য সদস্যরা। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহীদের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

মধুপুর (টাঙ্গাইল): সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুপুর বংশাই নদীর তীরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মধুপুর পৌরসভা, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন,  বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠন। এ সময় দেশের সেই সূর্য সন্তানদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান সবুজ’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ আহমেদ নাসির, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক জিহাদী প্রমুখ।

খাগড়াছড়ি : সকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সেমিনার কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর, মাটিরাঙ্গা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মো.সবুজ আলী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাশেম, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সৌমেন চাকমা প্রমুখ।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) : সকাল সাড়ে দশটায় কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ লাল শাপলা হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, কোটালীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান শেখ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষ্মী রানী সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন, শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ স্কাউট উপজেলা শাখার সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুকুল প্রমুখ।

রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি): সকালে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা শহীদ মিনার পুস্পস্তবক অর্পণের পর উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লা অং মারমা, উপজেলা কৃষি অফিসার আবু খাইয়ের, ওসি তদন্ত শাহেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাজুরুল ইসলাম, নির্বাচন কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফজলুল করিম, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা প্রমুখ।

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) : সকালে  রাজবাড়ী  জেলার বালিয়াকান্দিতে দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলার জামালপুর জান্নাতুল মাওয়া গোরস্থানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদ হারুন অর রশিদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর শহিদ হারুন অর রশিদসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত, শান্তি কামনা করে মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। পরে জামালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ন সচিব গোলাম রহমান মিঞা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসান, থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক কমান্ডার আব্দুল মতিন ফেরদৌস প্রমুখ।

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ): সকাল ১০ টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার থানার এসআই মুহাম্মদ আসলাম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সহসভাপতি এম এ মোতালিব ভুইয়া, সাবেক ইউপি সদস্য হাছিব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুল হাই প্রমুখ।

নাগরপুর (টাংগাইল): সকালে স্মারক ৭১ স্মৃতিস্তম্ভে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নাগরপুর থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। এরপর নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে  উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবদুল মালেক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা বেগম শিপ্রা, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.শাহিনুর ইসলাম, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন, মো. মোকাদ্দেস আলী, গোলাম সরোয়ার ছানাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী গণ।

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) : আজ সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও পরিচালনা করেন উপজেলা মধ্যমিক অফিসার মাহাবুবুল কবির। অন্যানদের বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, ধর্মপাশা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম, উপজেলা কৃষি অফিসার মীর হাসান আল বান্না, জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী, সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন, ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুবায়ের পাশা হিমু,ধর্মপাশা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম এ রেজা পহেল, মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। 

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর): উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন হয়েছে। উপজেলা হলরুমে নির্বাহী অফিসার মো. আবু বক্কর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড.এম মতিউর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মো. ইব্রাহীম, ওসি (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোশারেফ হোসেন হাং,স্বপন কুমার ডাকুয়া, সমাজ সেবা অফিসার মশিদুল হক, আ”লীগ নেতা মনিরুজ্জামান সেলিম, মনিরুজ্জামান শিকদার, সহকারী অধ্যাপক জাকারিয়া হোসেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এম এম ওবাইদুল্লাহ প্রমুখ। 

গাংনী (মেহেরপুর): সকালে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গাংনীয় উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মো. জামাল হোসেন, গীতা পাঠ করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী, গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক মুন্টুর সঞ্চালনায়, উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যারা এদেশের জন্য বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো তখন কিছু কুচক্রী মহল তাদেরকে হত্যা করেন। যারা এদেশের স্বাধীনতার জীবন দিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। আর যারা দেশের সূর্য সন্তানদেরকে হত্যা করেছে তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া): সকাল ১০টায় উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল আমিন, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার শরিফুল ইসলাম, উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাসেম,  উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফাতেমা খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আহসান আরা, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আলম জাকারিয়া টিপু, আইসিটি অফিসার আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। 

পবিপ্রবি প্রতিনিধি: সকাল ১০টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর’র (প্রশাসনিক ভবন) সম্মুখে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। কালো পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার প্রফেরস মোহাম্মদ আলী। এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত এর নেতৃত্বে এক মৌন মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং মৌন মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরবর্তীতে একই স্থানে প্রফেসর ড. জাহিদ হাসান‍‍`র সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ১টা ৩০মিনিটে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

গুরুদাসপুর(নাটোর): সকাল ১১টায় গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন ও একমিনিট নিরবতা পালন করে উপজেলার তিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী কররস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ, মহিলা ভাইস রোকসানা আক্তার লিপি, সহকারী কমিশনার (ভূমি)মেহেদী হাসান শাকিল, সমাজ সেবা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অফিসার হারুনর রশীদ প্রমুখ। শেষে শহীদদের স্মরণে দোয়ার আয়োজন করা হয়।

তালতলী (বরগুনা): সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের পায়রা হল রুমে শহীদ বুদ্ধি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিপাত আনোয়ার তুমপা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির। এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমি অমিত দত্ত, তালতলী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো.খাইরুল ইসলাম আকাশ, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাইরাজ মাঝিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তরা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আজকের এই দিনে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছিল। সেই দিন হানাদান বাহিনীর হাতে মুক্তিযোদ্ধা,শিক্ষক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, চিত্রশিল্পীসহ সরকারি কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করে।

নাটোর: সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞা। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাছুদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছেদ আলী মোল্লা, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে একটি জাতিকে মেধা শূণ্য করতে পরিকল্পিতভাবে দেশের সূর্য সন্তানদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। তাদের আত্বত্যাগ বৃথা যায়নি। আমাদের দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আত্ম উপলব্ধির এই দিনে সবাইকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে হবে। তবেই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিকেল সাড়ে চারটায় ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরীতে আলোচনা সভা শেষে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। সন্ধ্যা সাতটায় নাটোর প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ঝালকাঠি: সকালে ঝালকাঠির পৌরসভা খেয়াঘাটে অবস্থিতত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। প্রথমেই ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম এর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ঝালকাঠি জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলাচনা সভা। এত প্রধান অতিথি ছিলেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। বিশষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, সিভিল সার্জন ডাঃ এইচএম জহিরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

বরিশাল ব্যুরো: সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি নামফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি এবং বরিশাল সিটি কপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। এছাড়াও নগরীর ওয়াপদা কলোনি সংলগ্ন টর্চার সেলে ৭১ স্মৃতি স্তম্ভে সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। একই সময় ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।  

নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): সকাল ৮টার দিক নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার ও তার স্টাফগণ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্কাউট সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগণের অংশগ্রহণে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে নাচোল থানায় কর্মরত তিন (পুলিশ কনস্টেবল) শহীদের সম্মানে তাদের কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। থানা ক্যাম্পাশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকারের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা শেষে তিন শহীদসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়।

জবি প্রতিনিধি: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান উল্লেখ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এটা বুঝতে পেরে দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে শুরু করে। তবে লজ্জাজনক ব্যাপার হচ্ছে স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসেও পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের নিকট ক্ষমা চায় নি। 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। উপাচার্য তার বক্তব্যে আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশে এখনও সক্রিয়। 

তাদের সঙ্গে লড়াই এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ লড়াই করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ লড়াইয়ে আমরা সবাই সরকারের সঙ্গে রয়েছি। শুধু সরকারকে দায়ী করলে চলবে না। আমাদের স্ব স্ব স্থানে থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম প্রথমে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও পরে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে পুষ্পস্তবক র্অপণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 
এসময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, সাংবাদিক সমিতির সদসবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ। 

সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শ্যামল নাথ (দৈনিক বঙ্গজননী), সহ-সভাপতি জাহেদ মঞ্জু (মিডিয়া এক্সপ্রেস), নির্বাহী সদস্য ও সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আসলাম পারভেজ (দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ), সাধারণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন (দৈনিক যায়যায়দিন), যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল নাথ (ডেইলি অবজারভার), সহ-সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম (দৈনিক শাহ আমানত), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন (দৈনিক কালবেলা), অর্থ সম্পাদক মো. আবুল মনছুর (দৈনিক অধিকার), প্রচার সম্পাদক রিমন মুহুরী (দৈনিক ইনফো বাংলা), সহ সাংগঠনিক সুমন পল্লব (দৈনিক সকালের সময়), দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আবু নোমান (দৈনিক জনবাণী), মো. ওসমান গনি (দৈনিক তৃতীয় মাত্রা), সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম এরশাদ (দৈনিক একুশের বাণী), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. সাহাবুদ্দীন সাইফ (দৈনিক আমার সংবাদ), সদস্য মোহাম্মদ ইরফানুল ইসলাম (আমাদের মুক্তকন্ঠ)। এসময় সংগঠনের সভাপতি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে যখন বাঙ্গালিদের জয় দ্বারপ্রান্তে ঠিক সেই মুহুর্তে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের রাজাকার আলবদরের সহযোগিতায় দেশকে মেধাশূন্য করতে বধ্যভূমিতে নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে শহীদ করা হয়।

ভোলা : সকাল সাড়ে সাতটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ও ৮টায় যুগীরঘোল বধ্যভূমিতে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান, ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার, মো. মাহিদুজ্জামান বিপিএম, পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে  শহীদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক  অর্পণ শেষে শহীদদের  আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের  সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

পুলিশ সুপার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রগতিশীল লেখক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও সেই সকল ঘাতকদের প্রেতাত্মা জঙ্গি গোষ্ঠী প্রগতিশীল লেখক-বুদ্ধিজীবীদের উপর হামলা করছে, তাঁদের হত্যা করছে। সুতরাং প্রগতিশীল বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে  আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। 

এসময় জেলা প্রশাসক  কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ,সকল কর্মকর্তা-কর্মকর্তাগণসহ আরো উপস্থিত ছিলেন মো. মামুন অর রশিদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রিপন চন্দ্র সরকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভোলা, অফিসার ইনচার্জ ভোলা সদর মডেল থানা, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, ভোলা, ডিআইও-১ জেলা বিশেষ শাখা, ইনচার্জ শহর ও যানবাহন শাখা, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই পুলিশ লাইন্স, ভোলাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পত্নীতলা (নওগাঁ): সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রোল্লাদ কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুনিরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ রাহাত, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাতিজাতুল কোবরা মুক্তা, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুল ইসলাম, পত্নীতলা প্রেসক্লাব ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী। 

এসময় উপস্থিত সকল কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, সূধীজন প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে একটি জাতিক মেধা শূণ্য করতে পরিকল্পিত ভাবে দেশের র্সূয সন্তানদের নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। আমাদের দেশ আজকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আত্ম উপলব্ধির এই দিনে সবাইকে দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হতে হবে। তবেই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হবে।

উখিয়া (কক্সবাজার): সকাল ৯টায় উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে উপজেলা পরিষদ, উখিয়া থানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজ, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উখিয়া স্কাউটস টিমের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নেছা বেবী, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. শামীম হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. রঞ্জন বড়ুয়া রাজন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আল মামুন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী, উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান খান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহান, পজিপ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু তালেব, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরীফ ইমতিয়াজসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আগৈলঝাড়া (বরিশাল): সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার শহীদ সুকান্ত আবদুল্লাহ হল রুমে উপজেলা নবাগত নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। 

সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার উম্মে ইমামা বানিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন, ওসি (তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবু তাহের মিয়া। আলোচনাসভা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ফজলুল হক। 

এদিকে সকাল এগারোটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় অফিসের সামনে শেষ হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈর সভাপতিত্বে কার্যালয়ের সামনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন। অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জনপ্রতিতিনিধিগন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাগুরা: সকাল ১০টায় শহরের নোমানীয় ময়দানে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ পুষ্পস্তপক অর্পণ করেন। পরে একে একে পুলিশ সুপার মশিউদৌলা রেজা, জেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তপক অর্পণ করেন। 

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মশিউদৌলা রেজা, সিলিভ সার্জন শামীম কবির, সরকারি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ রেজভি জামান,জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রহমান। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নোমানী ময়দানে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক, মাগুরা মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার, মাগুরা মো: মশিউদ্দৌলা রেজা; সিভিল সার্জন, মাগুরা ডা. মো: শামীম কবির, সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ রেজভী জামান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমাণ্ডার এস.এম. আব্দুর রহমান। এসময় মাগুরা জেলার সকল দপ্তরের প্রধানগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল): সকাল ১০টায় দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শাকিলা পারভীন এর সভাপতিত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের চেতনা, তাৎপর্য এবং তাদের স্মরনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত বৈদ্য, দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলিগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক। দেলদুয়ার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু তাহের বাবলু প্রমুখ। 

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ): সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কুড়িঘাট বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনার সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। কুড়িঘাট বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, হোসেনপুর সরকারি কলেজ, হোসেনপুর পাইলট মডেল সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ, হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং হোসেনপুর বিএম কলেজ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাশিতা-তুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মাহবুবুল হক, সিদলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কাঞ্চন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মো. তানভীর হাসান জিকো, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা মো. উজ্জ্বল হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মঞ্জুরুল হক, প্রধান শিক্ষক কাজী আছমা বেগম, হোসেনপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, হোসেনপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত চন্দ্র শীল, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আক্তার হোসেন দুলাল প্রমুখ।

কক্সবাজার: ভোরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উপলক্ষে বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌরসভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই ১৯৭১ সালের এ দিনে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা এ দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছিল। দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিমউদ্দীন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, বিভীষণ কান্তি দাশ, তাপ্তি চাকমা, শিক্ষাবিদ প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্তী, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলামসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন। এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

খোকসা (কুষ্টিয়া): শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। পরবর্তীতে দুপুর ১২ টার দিকে খোকসা উপজেলার হলকক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

খোকসা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খোকসা উপজেলার চেয়ারম্যান মো. বাবুল আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ আননূর যায়েদ, সহকারি (ভূমি) কমিশনার বিধানকান্তি হালদার৷ 

খোকসা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা কারুজ্জামান সোহেল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবসের পটভুমি ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের স্বরণ করিয়ে দেয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের মুক্তিযোদ্ধের ত্যাগের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ  হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় এগিয়ে যাব। এ সময় খোকসা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ও অন্যান্য শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে ভূমিকা রাখতে হবে।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ডের পক্ষে অধ্যাপক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং শহিদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, এদেশের বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও বর্বর গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। তাঁরা সকল অন্যায়, অপকর্ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁদের কন্ঠরোধ ও ইতিহাস বিকৃতি, জাতিকে মেধাশূন্য ও পরাধীন করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করা হয় । দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। নতুন প্রজন্মের মাঝে ইতিহাস সচেতনতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে। পেছনের রাস্তা দিয়ে অগণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। এদের প্রতিহত করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণস্থ স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।

রাবি প্রতিনিধি: যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাবির প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে এবং সাড়ে ৮টায় শহীদ মিনার ও বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলেই হবে না, তার শিক্ষা যদি সমাজে ব্যবহৃত না হয় তাহলে সেটা প্রকৃত শিক্ষা নয়। যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন তারা কি আত্মহত্যা করতে গেছেন? ওনারা তো জানতেন মুক্তিযুদ্ধে গেলে মারাও যেতে পারেন। ওনারা আসলে দেশের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন, দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে গিয়ে আত্মদান করেছেন। বাঙালি জাতির জন্য বুদ্ধিজীবীদের অবদান অনস্বীকার্য। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের এই ভাষা, আমাদের এই দেশ, আমাদের এই স্বাধীনতায় আছে বুদ্ধিজীবীদের অবদান। আমি আজকের এই দিনে শহীদ পরিবারের সদস্য যারা এই দীর্ঘ ৫২ বছর তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বয়ে বেড়াচ্ছেন, এই দিবসে আমি আশা করব নতুন করে তাদের কাছে আর কোন শোক যেন না আসে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ না হয়। আমাদের জন্য বুদ্ধিজীবীদের অবদান কতখানি, আমাদের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা কতটা এই বিষয়ে আরো চর্চা হওয়া উচিত। আমি মনে করি এগুলি ভালো করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা উচিত। স্মৃতিচারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার চেষ্টা হয়েছে। ২০ হাজার বুদ্ধিজীবীকে এসময় হত্যা করা হয়। ঐ সময় তারা গভর্নর হাউজে বুদ্ধিজীবীদের নিমন্ত্রণ করতো এবং সেখানে তাঁদের হত্যা করা হতো। এটা হিটলারের যে হত্যাযজ্ঞ, ইহুদীদের যে হত্যাযজ্ঞ সেটাকেও ছাড়িয়ে যায়। পাক হানাদার বাহিনী আমাদের ভাষার উপর উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ইতিহাসকে ধ্বংস করার জন্য তারা বুদ্ধিজীবীদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এবং অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি, সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এআরএস

Link copied!