Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫,

বিমানে বোমা হামলার হুমকি

হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পেয়ে দুইটা ব্যাগ সন্দেহ করেছিলাম : বেবিচক চেয়ারম্যান

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম


হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পেয়ে দুইটা ব্যাগ সন্দেহ করেছিলাম : বেবিচক চেয়ারম্যান

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ এসেছে। এটা পাকিস্তানি নম্বর। তিনি আমাদের তথ্য দিয়েছেন। দুইটা ব্যাগ সন্দেহ করেছিলাম। তবে কিছু পাওয়া যায়নি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমা হামলা হুমকির সার্বিক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রোম থেকে যাত্রা করে ঢাকায় ৯টা ২০ মিনিটে অবতরণ করে। ২৫০ জন যাত্রী ছিল। ১৩জন ক্রু ছিল। আমাদের এখানে আসার পর আমার সর্বোচ্চ প্রিপারেশন নেই। প্রতিটা সংস্থা সুন্দরভাবে কাজ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিটা যাত্রী সুন্দরভাবে গেছে। যাত্রীদের দ্রুত বের করে, তিন চারটা লাইন করে, দ্রুত চেক করে টার্মিনালে নিয়ে এসেছি। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা ছিল টার্মিনালে। প্রত্যেকটা যাত্রী কোঅপারেশন করেছে।

তিনি আরও বলেন, এত বড় অপারেশনে কোনো ছন্দপতন হয় নাই। আমি বিমান বাহিনীর প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব। তাকে সংবাদটা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই হাজির হয়ে গেছে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, যখন আমরা তদন্ত করি তখন দুইটা ব্যাগে সন্দেহ করেছিলাম। আমরা প্রতিটা লাগেজ স্ক্যানিং করে নামিয়েছি। নীচে আবার স্ক্যানিং করেছি। টোটাল জিনিসটা খুব সুন্দর করে করা হয়েছে। সবাই সুস্থ আছেন ভালো আছেন।

বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কন্ট্রোলরুমে মেসেজটি এসেছে, সেখান থেকে চলে গেছে ইডির রুমে, সঙ্গে সঙ্গে ইউএসই টিমকে অ্যালার্ট করা হয়।আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে অ্যাকশনে নেমে পড়ি।  আমরা যখন যাত্রীদের প্রাণ নিয়ে কাজ করি, একটা থ্রেড হল, আমাদের শতভাগ প্রস্তুত নিয়ে কাজ করতে হয়। কারণ আমরা তো তখন জানি না যে একটা রিয়েল নাকি আনরিয়েল।

তথ্যদাতার সঙ্গে একাধিকবার মেসেজ আদান-প্রদান হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য দাতা দুজনের কথা বলেছেন। তথ্য দাতা একটি লাগেজের ছবিও দিয়েছেন। এই ধরনের লাগেজ হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। উনাকে কল করা হয়েছে কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেন না। আমরা থ্রেট পাইলে যে প্রসেস নেওয়া দরকার আমরা সেটাই নিয়েছি। আমরাও সতর্ক ছিলাম, এটা  হয়ত আমাদের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য অন্য কোনো ঝামেলাও হতে পারতো। অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, যাতে প্রত্যেক লাগেজ, সতর্কতার সঙ্গে চেক করা হয়।

আরএস

Link copied!