হাসান ভুঁইয়া, আশুলিয়া (ঢাকা)
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ১১:০৫ এএম
হাসান ভুঁইয়া, আশুলিয়া (ঢাকা)
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ১১:০৫ এএম
বিজয়ের ৫২ বছর উদযাপন হয়ে গেল গতকাল ১৬ ডিসেম্বর। এ দিনটিকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত ছিল সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ছিল কঠোর নিরাপত্তা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধ চত্বর ত্যাগ করার পরে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এ সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনস্রোত সৃষ্টি হয়।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গেট দিয়ে প্রবেশ করতে আপনার চোখে পড়বে নকশা। যেখানে দেওয়া আছে-মিনার, গণকবর, পুস্পস্তবক অর্পণ বেদী, ভাস্কর্য্য চত্বর, সেতু, উন্মুক্ত মঞ্চ, হেলিপ্যাড, অভ্যর্থনা ভবন, জলাধার বা পুকুর, লাইব্রেরি ও জাদুঘরসহ ১৯টি স্থাপনার নির্দেশিকা। তবে, বিজয়ের ৫২ বছর পরও স্থপতি সৈয়দ মঈনুল হোসেনের নকশা অনুযায়ী এখনও বাকি আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের কয়েকটি কাজ।
গতকাল ১৬ ডিসেম্বর নকশার নির্দেশিকা অনুযায়ী এ প্রতিবদেক খুঁজতে থাকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের লাইব্রেরি ও জাদুঘর। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে জাদুঘর ও লাইব্রেরীর সন্ধান পেলেও ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। কারণ এর প্রত্যেক দরজা ছিল তালা ঝুলানো।
এ সময় স্মৃতিসৌধের লাইব্রেরি ও জাদুঘরের সামনে অবস্থান করা দর্শনার্থীদে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা আসলে জানেন না যে, এখানে একটি লাইব্রেরি ও জাদুঘর রয়েছে। জানবেনই বা কিভাবে জাদুঘরের দরজা তো তালাবদ্ধ। শুধুমাত্র ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলকের দিকে নজর দিলে দেখা মিলবে জাদুঘরের নাম।
বিজয়ের ৫২ বছর পরও নকশা অনুযায়ী কাজ শেষ না হওয়ার কারণ জানালেন স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, এটার (অসম্পূর্ণ জাদুঘর) বিষয় হচ্ছে যে, আমাদের স্মৃতিসৌধে যে স্থপনাগুলো মূল নকশার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে ম্যুরাল, ফ্লাওয়ার শপ ও অগ্নিশিখা, অডিও ভিজুয়াল ও মিউজিয়াম। এ কম্পোনেন্ট গুলো ছিল কিন্তু যখন স্মৃতিসৌধ নিমার্ণ করা হয়, সে সময়ে এটা (জাদুঘর) করা সম্ভব হয়নি।
তবে পরবর্তীতে একটি প্রোজেক্টের মাধ্যমে আমরা পুষ্প বিক্রয় কেন্দ্র নিমার্ণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুকুরপাড়ে অডিও ভিজুয়াল ও মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সে গুলো এখনো পুরোপুরি চালু করা হয়নি। শুধুমাত্র স্ট্রাকচারটাই হয়েছে। তবে সেটার যে বাকি কার্যক্রম, সেটা পরিচালনার সিদ্ধান্ত গুলো না হওয়ার কারণে আসলে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
কবে নাগাদ চালু হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ওই বিষয় গুলো চালুর হওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আরেকটু এক্টিভ হতে হবে। যে তারা কিভাবে এটাকে পরিচালনা করতে পারেন।
যেমন ২৬ মার্চ বা ১৬ ডিসেম্বর যে অনুষ্ঠান গুলো হয়, সে গুলো আমরা প্রস্তুত করে দেই ভেনুটা কিন্তু অনুষ্ঠানটি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কারণ উনারা এখানে কি করবেন। কিভাবে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করবেন, এটার সিদ্ধান্ত উনাদের।
শুধু মাত্র বাস্তবায়নের জন্য যে স্ট্রাকচারটা প্রয়োজন সেটা গণপূর্ত করে থাকে এবং আমরা সুন্দর ও সফলভাবে করে আসতেছি। আসলে ওখান থেকে সিদ্ধান্ত গুলো আসতে হবে। তো আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো যতদ্রুত সম্ভব এটাকে (জাদুঘর) যেন চালু করা হয়।
এআরএস