Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

সৌদি প্রবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ০১:৪০ পিএম


সৌদি প্রবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

টানা সাত বছর সৌদি আরব থেকেও মামলার ৩ নাম্বার আসামি হলেন জহিরুল ইসলাম নামে বরগুনার এক প্রবাসী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর পরিবারের কাছে টাকা পাওনা বলে দাবি করে তার পরিবারসহ প্রতিবেশী ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন উড়বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান। তবে ওই প্রবাসীর পরিবারের দাবি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য এবং তাদের কাছে কোন টাকাই পাবেন না শিক্ষক।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) এমনটা জানান বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের উড়বুনিয়া গ্রামের প্রবাসী জহিরুল ইসলামের পরিবার।

জহিরুলের বাবা হাবিবুর রহমান মৃধা বলেন, আমাদের কাছে সাড়ে সাত লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করে প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ ও পরে আমার প্রবাসী ছেলেসহ আট জনকে আসামি করে বরগুনা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত অক্টোবরে একটি মামলা করেছেন প্রতিবেশী শিক্ষক মিজানুর রহমান। তিনি সম্পূর্ণ অসত্য অভিযোগ এনেছেন। আমি দীর্ঘদিন তার বাড়িতে কাজ করে আসছি। সেই সুবাদে তার কাছে আমি টাকা পাবো। এছাড়া আমার বাড়ির পাশে তার একটি জমি বিক্রি করবে বলে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। পরে সে জমি বিক্রি করেনি। সেই টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন। তার সাথে আমার এমন সু-সম্পর্ক ছিলো যে আমার ঘর জরাজীর্ণ থাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি পড়তো তাই গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাতিসহ  চেক বই ও বাড়ির জমির দলিলও তার কাছে বিশ্বাস করে রেখেছিলাম। তিনি আমার দলিল দিয়েছে, কিন্তু চেক বইটি দেয়নি। সেই চেক বই গায়েব করে আমাদের নামে মামলা করে। প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর অনুরোধ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হোক।

জহিরুলের মা মাজেদা বেগম বলেন, মিজানুর রহমান আমাদের একটি চেকের মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। তার দাবি আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার কাছ থেকে আমি সাড়ে সাত লাখ টাকা এনেছি এবং এর বিপরীতে আমার সাক্ষরিত একটি চেক দিয়েছি, যা ডিজঅনার হয়েছে বলেও দাবি তার। এসবই অসত্য। এমন কিছুই হয়নি, তিনি কোন টাকাই পাবেন না। আমার ছেলে দেশের বাইরে থাকে তাকেও মামলার আসামি করছে। এছাড়া আমার প্রতিবেশী তাকেও এই মামলার আসামি  করেন। এ থেকে আমরা দ্রুত প্রতিকার চাই।

এ বিষয় বাদি মিজানুর রহমান বলেন, আমার অভিযোগ আমি আদালতে জানিয়েছি। সত্য মিথ্যা যাচাই করে আদালত এর সঠিক সমাধান দেবেন।

এ বিষয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাসির মজলিস বলেন, উভয় পরিবারের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে এমন কোন দেনা পাওনা আছে কিনা জানার চেষ্টা করছি, থাকলে উভয় পক্ষকে নমনীয় ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য অনুরোধ করবো।

এআরএস

Link copied!