ভোলা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ১২:৩৪ পিএম
ভোলা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ১২:৩৪ পিএম
দ্বীপ জেলা ভোলার গ্যাস ঢাকায় যাচ্ছে আজ। পাইপলাইন না থাকায় আপাতত সিএনজিতে (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) রূপান্তর করে ঢাকায় পাঠানো হবে এ গ্যাস। পরে তা সরবরাহ করা হবে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকার শিল্প-কারখানা গুলোতে। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম পড়বে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ৷ রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জ্বালানি সচিব মো. নুরুল আলম ৷
সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ রঞ্জন কুন্ডু মুঠোফোনে আমার সংবাদ কে বলেন, প্রথম দিকে দিনে ৫ মিলিয়ন ঘনফুট সিএনজি আনা হবে। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ আলী এ প্রতিবেদক কে জানান, তাদের প্রথম গ্রাহক গ্রাফিক্স টেক্সটাইল।
চলতি বছরের ২১ মে সুন্দরবন গ্যাস ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় ভোলার উদ্বৃত্ত গ্যাস ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট সিএনজি আকারে পরিবহন করে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন এলাকায় সরবরাহ করবে কোম্পানিটি।
তিনি আরো বলেন ইন্ট্রাকো ১৭ টাকা দরে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কিনবে। বিক্রি করবে ৪৭ দশমিক ৬০ টাকা দরে। ভোলার ২ গ্যাসক্ষেত্রে ২ দশমিক ০৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট ৷ চাহিদা রয়েছে ৮০-৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
এর ফলে জেলার বোরহানউদ্দি উপজেলার শাহবাজপুর ও ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের ৮টি কূপে প্রতিদিন প্রায় ১২০ এমএমসিএফ গ্যাস অব্যবহৃত থাকে। মূল ভূখণ্ডে গ্যাসের সংকট মেটাতে ভোলার বাড়তি গ্যাস কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে পাইপ লাইন নির্মাণ ব্যয়বহুল বলে সিএনজি আকারে গ্যাস আনার সিদ্ধান্ত হয়৷
প্রসঙ্গত, দেশে দৈনিক কমবেশি ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তেলন করা হয়। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৪ হাজারের কাছাকাছি।
এআরএস