Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪,

প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও ধারন করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ২

সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ০২:০৮ পিএম


প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও ধারন করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ২
ছবি: সংগ্রহীত

নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আলমপুরা এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও ধারন করে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তা ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তালতলা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ তাদেরকে আটক করে। আজ শনিবার সকালে তাদেরকে সোনারগাঁও থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন আলমপুরা গ্রামের এক নারীর সঙ্গে গত ৩ থেকে ৪ মাস পূর্বে সৌদি আরব প্রবাসি যুবকের বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে ওই প্রবাসীর স্ত্রী পিতার বাড়ি আলমপুরা অবস্থান করে আসছে। গত কিছুদিন পূর্বে ওই নারী তার পিতার বাড়িতে তার নিজ কক্ষে জামাকাপড় পরিবর্তন করার সময় একই এলাকার মোস্তফা মিয়া ও নাঈম মিয়া তাদের মোবাইল ফোনে ঘরের বেড়ার ছিদ্র দিয়ে নগ্ন ভিডিও  ধারন করে।

পরবর্তীতে গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মোস্তফা মিয়া ওই নারীকে তার কক্ষে ঢেকে নিয়ে সেই নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে ওই নারী রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ ঘটনা পিতামাতাকে অবিহত করলে শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁও থানায় গিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গতকাল রাতেই মোস্তফা মিয়া ও ছালাম মিয়াকে আটক করে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের উপ পুলিশ পরিদর্শক এস আই মজিবুর রহমান। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এস আই মজিবুর রহমান। আটককৃতদের সোনারগাঁও থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী নারী বলেন, আমার জামাকাপড় পরিবর্তন করার সময় ঘরের যেকোন ছিদ্র দিয়ে কৌশলে ধারন করা ভিডিও আমাকে ডেকে নিয়ে তা দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় মোস্তফা মিয়া ও তার সহযোগিরা। এতে রাজি না হলে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।

অপরদিকে অভিযুক্ত আটককৃত মোস্তফা মিয়া বলেন, ধারন করা ভিডিও আমি ওই নারীকে দেখিয়েছি। একথা সত্যি, কিন্তু অনৈতিক প্রস্তাব বা ধর্ষণের চেষ্টা করিনি।

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত মহসিন মিয়া বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এআরএস

Link copied!