রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ইমরান হোসেন (৩০) নামে এক সংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে কাপ্তাই সড়কের রোয়াজারহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সিকদারপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি জাতীয় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি ছিলেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতরাতে মরিয়মনগর থেকে তিনি মোটরসাইকেলযোগে সরফভাটা নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে রোয়াজারহাট মধুবনের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা জ্বালানি কাঠ বোঝাই দ্রুতগামী একটি চাঁদের গাড়ির ধাক্কা দেয় তার মোটরবাইকটিকে। মাথায় হেলমেট থাকলেও চাঁদের গাড়ির চাকায় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরিবারে তার দুই বোন এবং তিনি একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নিহত ইমরানের বাবা-মা পাগল প্রায়। তার এমন মৃত্যুতে উপজেলার সংবাদকর্মী তার বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরো জানা যায়, ঘাতক চাঁদের গাড়িটি ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ৯২৯৫ নাম্বারে ইসলামপুরের বটতল এলাকার মফিজ সওদাগরের মালিকানাধীন গাড়িটি দক্ষিণ রাজানগরের সোনারগাঁও এলাকার মো. শহীদ নামে একজন চালিয়েছিলো বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের দাবি, এ পর্যন্ত উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া এলাকায় এসব চাঁদের গাড়ির কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে যারা অকালে প্রাণ হারাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটর বাইক চালক। মৃত্যুর তালিকায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও নিস্তার পাচ্ছে না এসব চাঁদের গাড়ির দাপুড়ে। বনভূমি উজাড় করে আনা জ্বালানি কাঠ ও বাঁশ বহন করা এই গাড়িগুলো বেশিরভাগই নেই কোন বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং এরা সড়কের নিয়মনীতি তোয়াক্কার না করে নিয়মের চাইতে বেশি দ্রুত চালানো কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে কয়েকজন ব্যবসায়ী লাভবান হলেও কষ্ট পাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ, অকালে হারাতে হচ্ছে আপনজনদের।
এদিকে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের থেকে একজন বাদী হয়ে মামলা প্রক্রিয়া।
এআরএস