Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নৌকার বিজয় মিছিলে দু‍‍`প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম


নৌকার বিজয় মিছিলে দু‍‍`প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা মার্কার বিজয় মিছিলের সময় দু‍‍`প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহতরা হলেন-আনন্দবাস গ্রামের  আকাশ মিয়া (২৫), টুকু বিশ্বাস (৪০) অপু বিশ্বাস (৩৩), অন্তর মল্লিক (১৬), আব্দুল হালিম (৩২)আশরাফুল ইসলাম (৪৫), ফেরদৌস আলী মেনতা (৫৫) আয়াত আলী (৪৫) ফজলুল হক (৫৯), নাহিদুল ইসলাম (৩৫), পিয়াস মিয়া (২৫) ও আলী ইয়াসিন (৫০)।

সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিস্বাসের আনন্দবাস গ্রামের বাড়ির সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ও গুরুতর আহতদের মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর) সংসদীয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিজয় হওয়াতে আনন্দবাস গ্রামে তার কর্মী সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল নিয়ে জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে এলাকার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াউদ্দীনের কর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। পরে উভয়পক্ষের  লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  নেয়।

এসময় আকাশ মিয়া, টুকু বিশ্বাস, অপু বিশ্বাস, অন্তর মল্লিক,আব্দুল হালিম,আশরাফুল ইসলাম, ফেরদৌস আলী মেনতা, আয়াত আলী, ফজলুল হক, নাহিদুল ইসলাম,পিয়াস মিয়া ও আলী ইয়াসিন এর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে,তাদের মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত জানান, সর্ব প্রথমে নৌকা আনন্দ মিছিল থেকে জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের একজন কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারা হয়। পরে মিছিলটি জিয়াউদ্দীনের বাড়ির সামনে গিয়ে আরো জোরে শব্দ করে স্লোগান দিয়ে থাকে।

এক পর্যায়ে জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস বাড়ি থেকে বের হয়ে তার কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চাই। এসময দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অর্ধশতাধিক কর্মী সমর্থকেরা আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ নেয়। বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশকে  ফাঁকা ৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে ।

এইচআর

Link copied!