Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪,

ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের আর কেউই বেঁচে নেই

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

জানুয়ারি ১০, ২০২৪, ১২:২৯ পিএম


ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের আর কেউই বেঁচে নেই
ছবি: সংগ্রহীত

ফেনীতে নিজেদের ভাড়া বাসায় আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারটির তিন সদস্যের আর কেউ বেঁচে নেই। ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন গৃহকর্তা আশীষ চন্দ্র সরকার (৪০), তাঁর স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০) ও তাঁদের একমাত্র সন্তান রিক সরকার (৯)।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নিহত আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার মুঠোফোনে এ হৃদয়বিদারক মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, তাঁদের তিনজনেরই ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার পারিবারিক শ্মশানে শেষকৃত্য হয়।

সেখানে আশীষের বাবা-মা ও ভাই-বোনেরা বসবাস করেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে আশীষ সবার বড়। তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ছেলে রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।

এর আগে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁরা।সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের। এর আগে ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার (৯) এবং ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার।

আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার আরও জানায়, সোমবার নিহত টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাঁকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবন-২-এর পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।

দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।

এআরএস

Link copied!