Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শীতে কাঁপছে এতিমখানার শিশুরা

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম


শীতে কাঁপছে এতিমখানার শিশুরা

বরিশালে শীতে কাঁপছে মাদ্রাসার এতিম শিশুরা। বিশেষ করে কম্বল কিংবা গরম কাপড়ের অভাবে নগরীর পলাশপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছগ্রামের মধ্য কালবার্ড সংলগ্ন রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে। গায়ের কাপড় ও একটি পাতলা খাতা চলমান সর্বনিম্ন তাপমাত্রার এই শীত সামলাতে পারে না শিশুরা।

অন্যদিকে একটি এতিমখানায় যে পরিমাণ এতিমসহ শিক্ষার্থী থাকে, সেই পরিমাণ কম্বল কেনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র উচ্চ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল ৯টায় বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০.৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সকালে ২ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে গেছে। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি বরিশালে। এতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভ‚ত হয়েছে। এর আগে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরো বলেন শীতের এ তীব্রতা আরো ৪/৫ দিন থাকার সম্ভবনা রয়েছে তবে মাঝে মধ্যে এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে তারপরে শীতের তীব্রতা থাকার পর এ অঞ্চলে বজ্র বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কনকনে এই শীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ভোগান্তি দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে।

বিশেষ করে মাদ্রাসার এতিম শিশুরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর পলাশপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছগ্রামের মধ্য কালবার্ড সংলগ্ন রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এতিমসহ শতাধিক শিশু আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করছে।

সেখানে মাত্র ১০টি কম্বল রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। মাদ্রাসা কতৃপক্ষ আরো বলেন, বর্তমানের মাদ্রাসার ছাত্র বেশি থাকায় তাদের তিন বেলা খাবার যোগার করতে খুব সমস্যা হয়ে দারিয়েছে। তার মধ্যে দেখা দিয়েছে শীতের তীব্রতা।

এখন এই শীতে ছোট ছোট এতিম শিশুদের নিয়ে কি করবো তা বুঝতে পারছিনা। কোন ব্যাক্তি যদি এই এতিম শিশুদের দিকে তাকিয়ে কিছু কম্বল অথবা শিশুদের পোষাক দিতেন তাহলে এই এতিম শিশুরা শীতের হাত থেকে একটু রক্ষা পেতেন। এই মাদ্রাসায় এতিমরা কম্বল ও গরম কাপড়ের কারণে প্রচন্ড শীতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে খাদ্য ও অর্থের সংকট রয়েছে। তাই বিত্তবান কিংবা প্রশাসন থেকে এতিম শিশুদের রক্ষায় গরম কাপড় নিয়ে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন ওই মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। অন্য দিকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইর কাজ শেষ হলেও এখনও বাকি রয়েছে ৪র্থ তলার নির্মাণসহ ভবনের বাকি কাজ।

এইচআর

Link copied!