সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাষকষ্ট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের রোগীর চেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ১০০ শয্যা হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ১৫-২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে এবং ১০-১৫ জন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আসছেন।
তীব্র শীতের কারণে অন্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাড়তি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা। এছাড়া রোগীর ভিড় বাড়ছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে শীত বৃদ্ধির পর ডায়রিয়ার ও শ্বাসকষ্ট প্রকোপ বেড়ে যায়। ফলে জরুরী ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন সেবা গ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের শিশু ও বয়োঃবদ্ধ রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
গতকাল রাতে ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ২ বছরের এক শিশুর সেবা নিতে আসে শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকার পলাশ। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, ডায়রিয়ায় বাচ্চার চেহারা ফ্যাকাশে হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এছাড়াও কামারপুকুরের জয়নাল হোসেন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে গত রবিবার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তির পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসা সেবার পর আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো বলে সাংবাদিকদের জানান।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের কর্মকর্তা নাজমুল হুদা (আরএমও) জানান, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় সকলকে সচেতন থাকতে এবং শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলেই খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়াতে এবং শীত থেকে দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার বলেন, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সেবার ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।
এইচআর