Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

মঠবাড়িয়া পৌর শহরে বালুর মাঠের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আল্টিমেটাম

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম


মঠবাড়িয়া পৌর শহরে বালুর মাঠের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আল্টিমেটাম
ছবি: আমার সংবাদ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বালুর মাঠের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম। পৌরবাসীর সকাল-বিকেল ব্যায়াম বা হাটাহাটির জন্য মিনি পার্ক স্থাপনের জন্য ২০ জানুয়ারি শনিবার সকালে বালুর মাঠ পরিদর্শণে নিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুণ অর রশিদ, প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান মিজুসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঠবাড়িয়া প্রথম শ্রেণির পৌর ভবন থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থিত বালুর মাঠের পূর্ব ও উত্তর পাশে বহু বছর ধরে ডিসিআরকৃত দোকান রয়েছে। এক শ্রেণির অসাধু দোকান মালিকরা বিভিন্ন সময়ে কৌশলে দোকানের পেছন থেকে দখল করে দেকানের পরিধি বৃদ্ধি করেছেন। অনেকে পরিবারসহ বসবাসও করছেন। এর পাশাপশি ময়লার ভাগার সৃষ্টি করেছে। এতে দুর্গন্ধের পাশাপশি পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব পরেছে। দুর্গন্ধে আশপাশে নাক চেপে চলাচল করতে হয়। বর্ষার মৌসুমে দুর্গন্ধের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। একদিকে এদিকে পৌরবাসী প্রতিদিন সকাল-বিকেল ব্যায়াম বা হাটাহাটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে আসছিলো।

মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এমাদুল হক খান বলেন, এক শ্রেণির অসাধু দোকান মালিকরা বিভিন্ন কৌশলে দোকানের পেছন থেকে দখল করে দেকানের পরিধি বৃদ্ধি করেছেন। পাশাপশি এটা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বালুর মাঠটির সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি এ মাঠের দক্ষিণাংশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও প্রশাসনের প্রতি আহব্বন জানান।

পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, বালুর মাঠের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে বালু ভরাটের কাজ শুরু হবে। বালুর মাঠটি দৃষ্টিনন্দন করা হবে। যাতে পৌরবাসি স্বাস্থ্য সুরক্ষা জন্য সকাল-বিকেল ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।

এআরএস

Link copied!