বাঞ্ছারামপুর( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
বাঞ্ছারামপুর( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওরাটুলি গ্রামে আশিক মিয়া (১৬) নামের এক অটোরিকশা চালককে হত্যা করে অটোরিকশাসহ মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল (শুক্রবার) বাড়ি থেকে অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়ে গভীর রাত হয়ে গেলও বাড়িতে না ফিরলে মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে আশিককে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ পায়নি। নিহত আশিক মিয়া ফরদাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামের আব্দুল মিয়া ওরফে আফজাল মিয়ার ছেলে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওরাটুলি গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা একটি লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পুকুর হতে মরদেহ উদ্ধার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিকটিম আশিক মিয়া অটোরিকশা নিয়ে গতকাল(শুক্রবার) বিকালে ঘর থেকে অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়। রাতে দুষ্কৃতিকারীরা শ্বাসরুদ্ধকরভাবে হত্যা করে হাত পা বেঁধে ভিকটিমকে পুকুরের পানিতে ফেলে অটোরিক্সা নিয়ে যায়।
নিহতের মা পারভিন বেগম বলেন, আমার ছেলেকে কিস্তির মাধ্যমে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে অটোরিক্সা কিনে দেই। ছেলে অটো চালিয়ে প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে। সুন্দর ভাবে আমাদের পরিবার চলছিল। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হলে অনেক রাত হয়ে যায় বাড়ি ফিরেনি। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাইনি। আজ সকালে জানতে পারি আমার ছেলেকে কারা যেন হাত পায়ে বান দিয়া পুকুরে ফালাইয়া মাইরা রাখছে।
নিহত আশিক মিয়ার পিতা আফজাল মিয়া বলেন, একমাস হয় ছেলেকে কিস্তিতে অটো কিনে দিয়েছি। গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বেরহয় গভীর রাত হলেও বাড়ি না ফিরলে আমার সন্দেহ হয় হয়তো আমার ছেলেকে কেউ মেরে ফেলছে। আজ সকালে শুনি গাওরাটুলি পুকুর পাড়ে হাত বাধা মরদহ আছে। এসে দেখি আমার ছেলে আশিককে কারা যেন মাইরা ফালায় রাখছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলের হত্যাকারীদের সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরে আমরা পানি থেকে ১৬ বছরের একটি ছেলেকে হাত বাধা অবস্থায় উদ্ধার করি। কে বা কাহারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা কাজ করছি। আশাকরি দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুত উদঘাটিত হবে। উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
আরএস