আইন অমান্য করে কেটে চলছে ফসলি জমি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন আর ১টি পৌরসভায় প্রতিনিয়ত এক শ্রেণির প্রভাবশালী অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ি তাদের অধিক মুনাফার জন্য রাষ্ট্রিয় আইন অমান্য করে কেটে চলছে ফসলি জমি।

এর মধ্যে পৌরসভা, রতনপুর, সাতমোড়া, বিটঘর, কাইতলা উত্তর ইউনিয়নে এধরনের অপরাধের প্রবনতা বেশি। এছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করে ফসলি জমিকে কখনো ডোবা আবার কখনো ভিটিতে পরিণত করছে। এতে করে একদিকে খাদ্যের উৎপাদনের হার কমছে, অপরদিকে সরকার শ্রেনী ভেদে ভূমি করের রাজস্ব হারাচ্ছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, শীতকাল আসলেই প্রাথমিকভাবে উপজেলা জুড়ে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমি কেটে পাড় বাঁধা শুরু করে, পরে এগুলোতে মাটি কাটার অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের হিড়িক পরে। এসব অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত বেশিরভাগ লোকই প্বাশবর্তী উপজেলা মুরাদনগরের  কিছু অসাধু ভেকু ব্যবসায়ি।

এদের মধ্যে পীরকাশিমপুরের দেলোয়ার নবীনগরের সকল চায়ের দোকানে পোস্টার লাগিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে  কিছু মাদকাসক্তদের মেনেজ করে ভেকু দিয়ে ফসলি জমি কেটে চলেছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের নাকের ঢগায় পৌরশহরে লোড-আনলোড ড্রেজার বসিয়ে  জমির শ্রেণি পরিবর্তন বিহীন ফসলি জমি ভরাট করে চলেছে ড্রেজার ব্যবসায়িরা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ভূমি  প্রশাসন। এতেই  এই আইন লঙ্ঘনের সাহস পাচ্ছে ওরা।

এবিষয়ে সাধারণ কৃষক রফিকুল ইসলাম, ফুরকান মিয়া, নান্নু মিয়া সহ একাধিক কৃষক জানান, আমাদের পাশের জমির মালিকদের অর্থলোভ দেখিয়ে ফসলি জমি কাটে ড্রেজার ব্যবসায়িরা এতে করে আমাদের জমিগুলো ভেঙে তাদের কাটা গর্তে চলে যায়। তখন আমরা বাধ্য হয়ে কম মূল্যে এসকল লোকজনের নিকট জমি বিক্রি করতে হয়।

এবিষয়ে দেলোয়ার, শাহ আরেফিন, আরিফ, আব্দুর রহমানসহ একাধিক ড্রেজার ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সংশ্লিষ্ট ভূমি নায়েবদের মাসুয়ারা দিয়ে এসকল কাজ করে চলেছে। মাঝে মাঝে স্থানীয় মাদকাসক্ত ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে।

ফসলি জমি রক্ষায় উপজেলা ভূমি প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ফসলি জমি রক্ষায় প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না যদিও সে আমাদের লোক হয়।

এইচআর