এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
পরিবেশ আইন অমান্য করে ফেনীতে রাতের আঁধারে কৃষিজমির উর্বর মাটি কেটে সরবরাহ করা হয় ইটভাটায়। এতে যেমন জমির উর্বরতা নষ্ট হয়, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যও। শুধু তাই নয় মাটি জমির মালিকের কাছ থেকে কিনে নেয়াতো দূরের কথা, অনুমতিও নেয়া হয়নি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সরেজমিনে জেলার সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মোল্লার তাকিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সৌদিয়া ব্রিকস ফিল্ডের আশপাশে রয়েছে কৃষি জমি। সম্প্রতি রাতের আঁধারে স্থানীয় কৃষ্ণ লালের জমিতে স্কেভেটর দিয়ে গভীরভাবে মাটি কেটে নেয়া হয় ভাটায়।মোহাম্মদ মিয়া, ইব্রাহিম, কাজী মেহেদী ও আবছার সহ একটি চক্র মাটি কেটে নেয়।
এ ব্যাপারে জমির মালিক কৃষ্ণ লালকে মাটির টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলেও তিনি ধর্না দিয়েও সেই টাকা পাননি।অথচ তার জমিটি এখন পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। একইভাবে তৎসংলগ্ন আরেকটি জমি থেকেও মাটি কেটে নেয়া হয়।
কৃষ্ণ লালের দাবী, এটি তার ধানের জমি। তিনি কোনভাবেই মাটি বিক্রি করতেন না। ব্রিকফিল্ডের লোকজন তাকে না জানিয়ে মাটি কেটে নিয়েছেন। বিনিময়ে তাকে ন্যায্য মূল্যও দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
ফিল্ডের পরিচালক একরামুল হক কৃষিজমির মালিক থেকে অনুমতি ছাড়াই মাটি কেটে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, লোকসানে রয়েছেন। কৃষ্ণ লালকে ন্যায্যমূল্য দেয়া হবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানান, ফসলি জমির উপরিভাগের ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান থাকে। সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান চলে যায়। এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। ফসলি জমির মাটি কাটা তাই বেআইনি।
প্রসঙ্গত,ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ তে মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ বিষয়ে বলা হয়েছে, অন্য আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা হতে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এআরএস