পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
খাগড়াছড়ি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর সভাপতি ওখাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর মানবিক সহযোগিতায় রহিমা বেগম (৫১), নামের এক ভিক্ষুক নারীকে
নিজ হাতে তার কানে পরিয়ে দিলেন শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি সহায়ক যন্ত্র “হিয়ারিং এইড”। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি পুনাক
উদ্যােগে পুনাক সভাপতি ওখাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) খাগড়াছড়ি জেলার শাপলা চত্তরে অবস্থিত মানবতার দেয়াল খ্যাত মুক্ত মঞ্চে রহিমা বেগম (৫১) কে নিজ হাতে তার কানে পরিয়ে দিলেন শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি সহায়ক যন্ত্র “হিয়ারিং এইড”।
জানা গেছে গত ১৭ডিসেম্বর চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছিলেন রহিমা বেগম (৫১), পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), খাগড়াছড়ি এর উদ্যােগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মুক্তাধর পিপিএম (বার) সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি জেলার শাপলা চত্তরে অবস্থিত মুক্ত মঞ্চে দিনব্যপি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
পুনাকের এই সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় চার শতাধিক অসহায় মানুষ বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিকট থেকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছিলেন। সেখান চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছিলেন রহিমা বেগম (৫১) তিনি মূলত একজন শ্রবণ শক্তিহীন বধির হতদরিদ্র মহিলা। পেশায় তিনি একজন ভিক্ষুক। তিনি কারও কথা কানে শুনতে পান না।
বিষয়টি নজরে আসে খাগড়াছড়ি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মুক্তাধর পিপিএম (বার) মহোদয়ের। পুলিশ সুপার মহোদয় সেদিন রহিমা বেগম (৫১) কে কথা দিয়েছিলেন তাকে একটি “হিয়ারিং এইড” শ্রবনশক্তি বৃদ্ধি সহায়ক যন্ত্র কিনে দিবেন।
তিনি মূলত একজন শ্রবণ শক্তিহীন বধির হতদরিদ্র মহিলা। পেশায় তিনি একজন ভিক্ষুক। তিনি কারও কথা কানে শুনতে পান না। বিষয়টি নজরে আসে খাগড়াছড়ি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মুক্তাধর পিপিএম (বার) মহোদয়ের। পুলিশ সুপার মহোদয় সেদিন রহিমা বেগম (৫১) কে কথা দিয়েছিলেন তাকে একটি “হিয়ারিং এইড” শ্রবনশক্তি বৃদ্ধি সহায়ক যন্ত্র কিনে দিবেন।
পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট থেকে রহিমা বেগম (৫১) “হিয়ারিং এইড” যন্ত্রটি পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)কে জড়িয়ে ধরে কান্না করেন। তিনি বলেন যে, “সমাজে অনেক বিত্তশালী মানুষ আছেন কিন্তু কেউ তাকে এভাবে সাহায্য করেন নাই। কিন্তু আমার এই দুর্দশা দেখে পুলিশ আমার পাশে দাড়িয়েছেন”।
তিনি পুলিশ সুপার মুক্তাধর পিপিএম (বার) সহ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)এর দীর্ঘায়ু কামন করেন। এসময় তিনি দুহাত তুলে দোয়া করেন যে, “স্যারের মত প্রতিটি জেলায় এরকমের অফিসার জন্ম নেন”।
এইচআর