Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা

রফিকুল ইসলাম,পূর্বাচল প্রতিনিধি:

রফিকুল ইসলাম,পূর্বাচল প্রতিনিধি:

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম


ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা
ছবি: আমার সংবাদ

চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। শুরুতে কিছুটা দর্শনার্থীদের খরা থাকলেও তা ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বিশেষ করে আজকের ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। যার ফলে, বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফিরতে শুরু করেছে। বিক্রি বাড়াতে দিচ্ছে মূল্য ছাড়।

এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র।তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম সপ্তাহে আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে মেলার প্রবেশ করতে দেখা গেছে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থীর। বেচাকেনাও হয়েছে গত দিনের তুলনায় বেশি। মেলার অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন ও সল্টগুলো ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। ব্লেজার বিক্রেতা, শীতের কাপড়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়।

বিক্রেতারা বলছেন এতদিন  ক্রেতার তুলনায় মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল তবে আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও বিক্রি বাড়বে।সে জন্য আমার নানান অফার এবং মূল্য ছাড় দিচ্ছি ক্রেতাদের।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। দেশীয় পোশাক, হস্তশিল্পজাত পণ্য, সাজসজ্জার সামগ্রী, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, মেলামিন, আসবাব ও কার্পেটসহ গৃহসজ্জার বিভিন্ন সরঞ্জাম, ব্যাগ-জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ ও ইমিটেশন জুয়েলারি পণ্যের স্টলের সামনে ক্রেতাদের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্লেজারসহ অন্যান্য শীতের কাপড়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। এর ফলে বেড়েছে কেনাবেচা।

রাজধানীর উত্তরা থেকে মেলায় ঘুরতে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, মেলার সরকারি ছুটির দিন থাকায় লোকজন বেশি। ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করতে হয়েছে। তবে সব কিছু একসঙ্গে পেয়ে ভালো লাগছে।

মিরপুরের বাসিন্দা মো.মমিন বলেন, একটু দূরে হওয়ায় মেলায় আসতে অসুবিধা হয়েছে। তবে মেলায় আসার পর পণ্য দেখে ও কম দামে কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর শুরু হয়। মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ৩৫টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশি স্টল রয়েছে।

এবছর মেলায় বড়দের প্রবেশের টিকেটের মূল্যে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা, শিশুদের জন্য টিকেটের মূল্যে ২৫ টাকা। প্রতিদিন মেলা খোলা রাখা হবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিন খোলা থাকবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

/বিউ

Link copied!