মো. মনিরুল ইসলাম, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
মো. মনিরুল ইসলাম, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
দেশের উত্তরের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত নাচোল উপজেলার বেশিরভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলের কৃষকরা সারাবছরই জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে থাকেন। তবে আমন ও ইরি-বোরো মৌসুমে বছরে দুবার প্রধান ফসল হিসেবে জমিতে ধান চাষ করা হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে দিনের বেশিরভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা। তবুও থেমে নেই এ অঞ্চলের কৃষকরা। শীতকে উপেক্ষা করে শুরু করেছেন জমিতে বোরোধানের চারা রোপণ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে ট্রলি দিয়ে হাল বেয়ে জমি তৈরি করে নিচ্ছেন। পাশাপাশি বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কেউ বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প চালু করে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। কেউ আবার পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে নিচ্ছেন। অনেকে কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে জমির কাদাপানিতে নেমে মই টানছেন। কৃষি শ্রমিকরা কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বীজতলা থেকে চারা তুলে বিকাল পর্যন্ত জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন। সব মিলিয়ে শীতকে উপেক্ষা করে বোরোধান চাষাবাদ করতে মাঠে শুরু হয়েছে কৃষকদের কর্মজীবন।
উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের জমিন কমুন গ্রামের কৃষক সেরাজুল ইসলাম বলেন, ৬ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছি। শীতের মৌসুম, শীত তো থাকবেই। শীতের ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো আর চলবে না।
রাওতাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী জানান, ২ বিঘায় বোরো ধানের চাষাবাদ করেছি। সরিষা তুলে আরও ২ বিঘা চাষাবাদ করবো।
কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সেলিম রেজা বলেন, ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ শুরু করেছি। তবে বছরে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশির কারণে কয়েকদিন পরে চারা রোপণ করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম বলেন, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৯শত ৯০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারমধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৭শত ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর বোরো মৌসুমে ৪ হাজার ৫০ জন কৃষককে সার ও বীজ কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
ইএইচ