Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

ফেনীতে বেড়েছে রবি ফসলের আবাদ

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০২:১৫ পিএম


ফেনীতে বেড়েছে রবি ফসলের আবাদ
ছবি: আমার সংবাদ

ফেনীতে ৩০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষাসহ রবি ফসলের আবাদ করা হয়েছে।এছাড়াও বোরো ধানের পাশাপাশি জেলায় শীতকালীন সবজিসহ নানা ফসল চাষে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফেনীতে চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে সরিষা। ১০ হাজার ৪শ ৭৩ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সরিষা আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে।
৫ হাজার ৩শ ৮০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রায় খেসারি আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৭শ ৭৪ হেক্টর জমিতে।

গম, সয়াবিন ও তরমুজ আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গম ৬৮ হেক্টর ছাড়িয়ে ৭১ হেক্টর আবাদ, সয়াবিন ২৫ হেক্টর ছাড়িয়ে ৫৭ হেক্টর ও তরমুজ ৫৯০ হেক্টর ছাড়িয়ে ৬২৬ হেক্টর আবাদ হয়েছে। আলু আবাদেও ৩৬০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, এবার শীতকালীন সবজির ৫ হাজার ৩শ ৬০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৩শ ৫২ হেক্টর।

এছাড়া ভুট্টা ৪২০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৪১৯ হেক্টর, মিষ্টি আলু ৬২০ হেক্টরের মধ্যে ৫৫১, ইক্ষু ৮৭ হেক্টরের মধ্যে ৮৬, চিনাবাদাম ১ হাজার ৬০৫ হেক্টরের ১ হাজার ৫৭৩, মশুর ১ হাজার ৪শ ৪০ হেক্টরের মধ্যে ১ হাজার ১শ ৮০, মাষকলাই ৩২ হেক্টরের মধ্যে ২৬, মুলা ৬২০ হেক্টরের মধ্যে ৬১৭, ফেলন ৪ হাজার ৭শ ৪০ হেক্টরের মধ্যে ৪ হাজার ৭শ ১০, মটর ৩৮০ হেক্টরের মধ্যে ৩৪০, পেঁয়াজ ৩০ হেক্টরের মধ্যে ১০, রসুন ১০ হেক্টরের মধ্যে ১, ধনিয়া ৭শ ৮৫ হেক্টরের মধ্যে ৭৪১, শীতকালীন মরিচ ১ হাজার ২১০ হেক্টরের মধ্যে ১ হাজার ১৭৯, খিরা ৮শ ১ হেক্টরের মধ্যে ৭৪১, সূর্যমুখী ৫শ হেক্টরের মধ্যে ৩৬৮ হেক্টর আবাদ হচ্ছে।

জেলার কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া ও ঋতুর উপর নির্ভর করে দেশের কৃষি মৌসুমকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মৌসুমগুলো হচ্ছে- রবি মৌসুম, খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুম।

এর মধ্যে ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ (কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাস) পর্যন্ত এ সময়কালকে রবি মৌসুম বলা হয়। আমন ধান ঘরে তোলার পরেই এখানকার কৃষকরা ব্যাপকভাবে রবি ফসল উৎপাদনের প্রস্তুতি নেয়। স্থানীয় কৃষকরা এখন রবি ফসল রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

স্থানীয় একাধিক কৃষক জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এমনকি পোকামাকড়ের আক্রমণ না করলে রবি ফসলের বাম্পার ফলন হয়।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব চন্দ্র মজুমদার জানান, কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। রোগবালাই প্রতিরোধে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।

ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, এখানে সরিষাসহ বিভিন্ন রবি শস্যের উৎপাদন হয়ে থাকে। ভালো ফলনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছেন।

ইএইচ

Link copied!