Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাংকের আত্মসাৎকৃত টাকাসহ আসামি গ্রেপ্তার

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম


খাগড়াছড়িতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাংকের আত্মসাৎকৃত টাকাসহ আসামি গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়িতে মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খাগড়াছড়ি নতুন কুড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত প্রায় পৌনে ১০ লাখ টাকা মাসিক ফি জমা না দিয়ে পালিয়ে যাওয়া খাগড়াছড়ি ট্রাস্ট ব্যাংকের পিয়ন শৌখিন চাকমাকে (৩০) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারি)দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিং-এ  খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) জানান সোমবার রাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া থানা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে জেলার পানছড়ি উপজেলার বড় কলক ধন্য চন্দ্র পাড়ার বাসিন্দা রঙ্গলাল চাকমার ছেলে।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের মাসিক ফি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডে জমা দেন। প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ব্যাংকের একজনকে স্কুলের একটি সুবিধাজনক কক্ষে বসে ফি সংগ্রহ করেন এবং সংগৃহীত টাকা ব্যাংকে জমা করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকের ম্যানেজারের নির্দেশে ব্যাংকের অফিস পিয়ন শৌখিন চাকমা (৩০) চলতি ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ১৫০ টাকা সংগ্রহ করে। কিন্তু সে টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে অজ্ঞাতস্থানে আত্মগোপন চলে যান। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজার বাদী হয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব তৌফিকুল আলমের নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীর হাসান ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য অফিসারদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।

পরে পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ও তদারকিতে বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক তদন্ত কৌশলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত টিম মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল আসামি শৌখিন চাকমাকে (৩০) ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শৌখিন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

পুলিশ সুপার  বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান খাতে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের মূল অভিযুক্তকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার করতে পেরে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ স্বস্তি বোধ করছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে  খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সর্বদাই সচেষ্ট থাকবে বলেও তিনি জানান। 

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত শৌখিন চাকমাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে অবশিষ্ট টাকা উদ্ধার ও এ ঘটনা আরো কেউ জড়িত কিনা বা কারো প্ররোচনা আছে কিনা সে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। বলে জানান ।

আরএস

 

 

Link copied!