মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
নওগাঁর মহাদেবপুরে নার্গিস বেগম (৪৫) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপাজেলা সদরের মডেল স্কুল মোড়ের মৃত পুলিশ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের মেয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের চকদৌলত গ্রামে।
স্বামী পরিত্যক্তা ও নিঃসন্তান নার্গিস বেগম দীর্ঘদিন ধরে মডেল স্কুল মোড়ের বাড়িতে তার মায়ের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই মশিউর রহমান বকুল জানান, তিনি ব্যবসাসূত্রে রাজশাহীতে বসবাস করেন। তার অপর ভাই মিজানুর রহমান গকুল চট্টগ্রামে বিজিবিতে চাকরি করেন। তার বোন নার্গিস বেগম ও মা মেরিনা বেওয়া মডেল স্কুল মোড়ের বাড়িতে থাকতেন।
মা মেরিনা বেওয়া জানান, বাড়িতে তারা মা-মেয়ে ছিলেন। গেট বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার ভোরে তিনি ফজরের নামাজ শেষে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করার সময় তার মেয়ে নার্গিস বেগমের গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান। দ্রুত তিনি বাথরুমে গিয়ে নার্গিসকে গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে নওগাঁর পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান ভুঁইয়া, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি রুহুল আমিন জানান, সকাল ১০টায় তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেন। মরদেহের গলায় বামদিক থেকে নিচেরদিকে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে টানা দেয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্য কোনো চিহ্ন ছিল না। এ থেকে মনে হয় নিহত নার্গিস বেগম নিজেই ডান হাতে হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে টেনে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহের পাশ থেকে রক্তমাখা হাসুয়াটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি।
ইএইচ