Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হবে কবে?

উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ)

উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ)

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম


ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হবে কবে?

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে চার বছরেও শেষ হয়নি একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের এমন ধীরগতিতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯২ হাজার ৬শ ৪৬ টাকা ব্যয়ে ৭২ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করে মঈনুদ্দিন বাঁশি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সিরাজগঞ্জের উথান নামের একজন ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন। তিনি যথা সময়ে ব্রিজের কাজ শুরু করলেও ২০২২ সালে এসে শেষ করার কথা থাকলেও কাজটি শেষ করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ কাজের বাড়তি সময়ের আবেদন করলে তাও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সরেজমিনে ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেলকুচি পৌর এলাকাস্থ চর দেলুয়া সরকারি প্রাথমিক থেকে বক্কার প্রামাণিকের বাড়ি পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ৭২ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে ধীর গতিতে। প্রায় ৬ মাস কাজ বন্ধের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংকটের কারণে কাজ চলছে ধীর গতিতে।

চর দেলুয়া গ্রামের আবু বক্কার, মোতালে সরকার, সাজু রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বহু কাঙ্ক্ষিত চর দেলুয়া গ্রামে যমুনা নদীর শাখার ওপর দিয়ে ব্রিজে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে আমরা বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ তিন বছরেও শেষ করতে পারেনি। মাঝ খানে প্রায় ৬ মাস কাজ অজ্ঞাত কারণে বন্ধ ছিল। এখন আবার কাজ শুরু করেছে। তাও আবার ঠিকমতো শ্রমিক থাকে না । যেভাবে কাজ চলছে তাতে ৫ বছরেও কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল শহিদুল জানান, এই গ্রামের জন্য ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন হওয়া জরুরি। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে চরদেলুয়া গ্রামসহ চরাঞ্চলের মানুষ এর সুফল ভোগ করবে বেশি। কেন না এই ব্রিজটি যমুনা নদীর শাখার ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সঠিক সময় ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় এ এলাকার মানুষের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে যে আদৌ ব্রিজের কাজ শেষ হবে কি না।

এ বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী উত্থানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পেয়ে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

তবে তার ম্যানেজার মানিক জানান, ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার পর কয়েক দিন হলো শুরু করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কাজটা তাড়াতাড়ি শেষ করতে।

উপজেলা প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ব্রিজটির কাজ বর্ষা মৌসুমের জন্য বন্ধ ছিল। বর্তমানে কাজ সচল রয়েছে। যদিও যথা সময়ে ব্রিজটি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময় বাড়তি চেয়ে আবেদন করেছিল। তাকে তা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটির কাজ শেষ করতে পারবো।

সিরাজগঞ্জ জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সে সময়ের মধ্যে যদি তিনি ব্রিজের কাজ শেষ না করতে পারে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএইচ

Link copied!