বরগুনা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
বরগুনা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণের দুইদিন পরে আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামের খালের চরে হোগলপাতার খেত থেকে তানজিলা নামের এক ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীর হাত-পা বাঁধা গলায় স্কাফ পেঁচানো লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
বুধবার দুপুরে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। তানিজলা (১৩) তোফাজ্জেল খাঁনের কন্যা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তানজিলার চাচাতো ভাই হৃদয় খাঁনকে (১৮) পুলিশ আটক করেছে। জানা গেছে, উপজেলার পুঁজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খাঁনের মাদ্রাসায় পড়–য়া কন্যা তানজিলা সোমবার সকালে বাড়ির সামনে বের হয়।
এর সময় তানজিলাকে দুর্বৃত্বরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে হৃদয় খাঁনের (১৮) মোবাইল থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বাবা তোফাজ্জেল খাঁন মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব হয়। কিন্তু এরপর থেকে ওই মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ হৃদয় খাঁনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপহরণের দুইদিন পরে তানজিলার বাড়ির সামনে খালের চরে হোগলপাতার খেতের মধ্য থেকে বুধবার দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা গলায় স্কাফ পেঁচানো লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।
আটককৃত হৃদয় তানজিলার চাচাতো ভাই। হৃদয় খাঁনের বাবার নাম শহীদুল খাঁন। পুলিশ ওইদিন বিকেলে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। খবর পেয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, সোমবার সকালে তানজিলাকে বাড়ির সামনে থেকে দুর্বৃত্বরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে একটি মোবাইল থেকে তানজিলার বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারা আরো বলেন, বুধবার দুপুরে পুলিশ তানজিলার বাড়ির সামনে খালের চরে হোগলপাতার খেত থেকে হাত-পা বাঁধা গলায় স্কাফ পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে।
তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন কান্না জনিত কণ্ঠে বলেন, একটি মোবাইল ফোন থেকে আমার নিকট ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব করায় আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হৃদয় খানকে আটক করা হয়। এ ঘটনার হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এইচআর