ফেনী প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
ফেনী প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
বিএসএফ`র হাতে আটককৃত ফেনীর ২৩ যুবককে চোরাকারবারী হিসেবে ভারতের মনু বাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অফিসিয়ালি বিজিবিকে বিষয়টি অবগত করেছে বিএসএফ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনীস্থ-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা।
তিনি জানান, বিএসএফ জানিয়েছে মঙ্গলবার আটককৃত ২৩ বাংলাদেশিকে স্থানীয় মনু বাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় মেডিকেল চেকআপসহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তীতে ভারতের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও জানান, এই ব্যাপারে গত দুই দিনে একাধিকবার বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত বৈঠক হয়েছে।যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আটককৃতরা যখন ছাড়া পাবেন, তখন তাদের বিষয়ে বিজিবি পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯নং পিলার সংলগ্ন ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ।
তবে স্থানীয়দের দাবি, গত সোমবার রাতে উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে এমন গুঞ্জন শুনে খবর নিতে সেখানে ছুটে যায় এলাকাবাসী। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া শুরু করে। তখন অনেকেই পালিয়ে দেশে আসতে সক্ষম হলেও সেখান থেকে ২৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
তারা হলেন- ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), রাইসুল ইসলাম (১৯), সামিন (৪০), হারুন (২৩), লিটন (৩০), মাঈন উদ্দিন (২০), রাধানগর এলাকার মহসিন(২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম সাকিল (২২), হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), ইমরান (২২), রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), করিম (২০), ছাগলনাইয়া এলাকার মটুয়া এলাকার খোরশেদ (৩৮), আজাদ হোসেন (২৫), মাহিম (২৫), হারুন (৩২) ও ইমাম হোসেন (২২)।
এআরএস