নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া (কক্সবাজার)
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া (কক্সবাজার)
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
কক্সবাজারের পেকুয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। এতে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা বিশিষ্ট মৌলভী ছাঈদুল হক ছাত্রাবাসের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনের অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। ক্লাসরুমগুলোর বিম এবং ছাদের প্লাস্টার ধসে পড়েছে। বের হয়ে গেছে ছাদের রড। যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ভবনটি ঘুরে দেখা যায়, নিচতলায় ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়ালে ঝুলানো লাল ব্যানারে লেখা সতর্কবার্তা। তাতে লেখা আছে, ছাত্রাবাসটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, ভবনের চাপে বেলকুনির গ্রিলগুলো বাঁকা হয়ে গেছে। অপরদিকে তৃতীয়তলার একটি অংশের ছাদ ভেঙে বের হয়ে আছে রড। চতুর্থ তলায় গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ৩টি পিলারের ঢালাই খুলে রড বের হয়ে আছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ চতুর্থতলা বিশিষ্ট পুরোনো ভবনটিতে রয়েছে প্রথম তলায় শ্রেণিকক্ষ ও হলরুম। আরেকটি ভবন আছে চতুর্থতলা বিশিষ্ট যার মধ্যে উপরে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় চলে পাঠদান, প্রথম তলায় অধ্যক্ষ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে।
কলেজের শিক্ষক নাজেম উদ্দিন বলেন, ছাত্রাবাস কয়েক বছর ধরে বন্ধ। ভবনের তুলনায় শিক্ষার্থী বেশি। প্রায় একহাজার শিক্ষার্থী রয়েছে আমাদের কলেজে। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চারশো শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। এছাড়া বাড়ি দূরে হওয়ায় এ ভবনে দুজন শিক্ষক থাকেন। ভবনটির প্রতিটি রুমের অবস্থাই বেহাল।
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, কলেজটিতে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। নানা সমস্যার মধ্যে জরাজীর্ণ ভবন। পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কে থাকেন।
ইএইচ