খালেদ হোসেন টাপু, রামু (কক্সবাজার)
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
খালেদ হোসেন টাপু, রামু (কক্সবাজার)
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
কক্সবাজারের রামুতে প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আবাদি অনাবাদি জমিতে কৃষকরা এখন সরিষা চাষ করছেন। তাদের অভিমত ধানের তুলনায় সরিষায় লাভ বেশি। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু বাইপাস এলাকায় গেলে ক্ষেতের পর ক্ষেতজুড়ে সরিষা ফুলের এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্যের দেখা মিলবে।
তবে তাদের এই বাম্পার ফলনে যেন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দর্শনার্থীরা।
সরিষা ফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে ক্ষেতের ভেতর ঢুকে পড়ছেন তারা। এতে দর্শনার্থীদের পায়ের তলে পিষে যাচ্ছে সরিষার ক্ষেত। তাই দিনভর ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে কৃষকদের।
রামু উপজেলায় অধিকাংশ সরিষা ক্ষেতে ফুল ফুটেছে। এতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। অনেক জমিতে ফুল শেষ হয়ে বীজ দেখা যাচ্ছে।
রামু উপজেলায় জমির পর জমিতে সরিষার আবাদ দেখা গেছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। তবে অনেক জমিতেই ফুল শেষ হয়ে বীজ দেখা গেছে। বীজগুলো বেশ তরতাজা, যা ভালো ফলনের সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে।
রামু উপজেলা কৃষি অফিসার তানজিলা রহমান জানান, এ বছর রামু ফতেখাঁরকুল চাকমারকুল জোয়ারিয়ানালা ও রাজারকুল ইউনিয়নে ৭শ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে এবং ৫শ জন কৃষককে সরিষা বীজ ও সার বিনামূল্যে সহায়তা প্রদান করেন।
দর্শনার্থী দীপ্ত ডিপ জানান, রামুতে সরিষা ক্ষেতে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। আমার মতো অনেক দর্শনার্থীরা এখানে এসে ছবি-ভিডিওতে তুলতে গিয়ে সরিষা ক্ষেত নষ্ট করছে। আমি সবার উদ্দেশ্যে বলছি সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে ফসল নষ্ট করাটা উচিত না। এ বিষয়ে সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত।
এদিকে মেরংলোয়ার বাসিন্দা কৃষক নুর আহমদ জানান, গত তিন বছর ধরে সরিষা করছি। আগে কিন্তু আমি ধানক্ষেত করছিলাম। তবে ধানের তুলনায় সরিষায় লাভ বেশি দেখছি। তাই গত বছর এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এ বছর দুই বিঘায় সরিষা চাষ করেছি।
ইএইচ