Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ভাঙ্গারির সঙ্গে কিনলেন ককটেল, খুলতে গিয়ে গুরুতর আহত

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম


ভাঙ্গারির সঙ্গে কিনলেন ককটেল, খুলতে গিয়ে গুরুতর আহত

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামে ককটেল বিস্ফোরণে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী গুরুতর  আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ও  স্বজন সূত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার ৮ জানুয়ারি বেলা ১১ টার দিকে  লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কালনা গ্রামের নাজনীন বেগম এর ভাসুর বাবর খন্দকারের কালনা গ্রামের বাড়ি থেকে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীরা টিন সাদৃশ্য কৌটা ও টায়ার কিনে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে কিছু দুরে ওই ক্রয়কৃত মালামাল বাছায় করার সময় ভাঙ্গারি  ব্যবসায়ী নজরুল শেখের হাতে জর্দার কৌটা সাদৃশ্য বস্তু বিস্ফোরিত হয়ে গুরতর আহত হয়। আহত নজরুলকে তার ভ্যান চালক  লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক  প্রাথমিক  চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সূত্রে জানাগেছে আহত নজরুল  শেখ (৫০) লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর গ্রামের মোঃ আয়েন উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এই ব্যাবসা করে অতি কষ্টে সংসার চালায়।

আহত নজরুলের সংগে কথা হলে তিনি বলেন আমি লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নাজমীনের শ্বশুড়ি (বাবরের মা)  নিকট থেকে ৩শ ৪০ টাকার টিন, কৌটা ও টায়ার কিনে কিছু দুরে যেয়ে ওই ক্রয়কৃত মালামাল বাছাই করছিলাম। জর্দার কৌটাটি লোহার বাটখারা দিয়ে আঘাত করলে সাথে সাথে আমার হাতে বিস্ফোরিত হলে আমি গুরুতর ভাবে আহত হই।
ওই ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার রেহেনা বেগম বলেন শব্দ শুনে রাস্তা  এসে দেখি লোকটি বোমা বিস্ফোরনে আহত।তখন আমি ও তার সহযোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলি। 

লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমিনের  ভাসুর বাবর খন্দকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না তবে ককটেল  বিস্ফোরণের কথা শুনেছি। কি ভাবে ঘটেছে তা আমি বলতে পারি না। এ বিষয় টা  আমার জানার প্রয়োজন মনে করি না।

লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমিন বেগমের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই লোহাগড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করি। সাবেক মহিলা মেম্বার রেহেনার বাড়ির সামনে বোমা সাদৃশ্য টিনের কৌটা বিষ্ফোরিত হয়েছে বলে জানতে পারি। ঘটনা জানার পর আমি লোহাগড়া থানাকে অবগত করি।

এলাকার সাধারণ মানুষের ধারনা পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।তাছাড়া এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কান্চন কুমার রায় বলেন এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে কিন্তু কাউকে সনাক্ত করতে পারে নাই। 

আরএস

Link copied!