Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

মাগুরা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে নারী অপহরণ, উদ্ধার করতে গিয়ে ৪ পুলিশ আহত

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৯:০১ পিএম


মাগুরা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে নারী অপহরণ, উদ্ধার করতে গিয়ে ৪ পুলিশ আহত

জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণকৃত এক নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সোমবার বিকালে অপহরণকারীদের হামলায় পুলিশের একজন এসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনা স্থানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে আহত মেয়েটিকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।পুলিশ ও  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,মাগুরা সদর উপজেলার বেঙ্গা বেরইল গ্রামের হারুন মোল্লার মেয়ে মাসুরা খাতুনের বিয়ে রেজিস্ট্রারের উদ্দেশ্য সোমবার দুপুরে মাগুরা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। এ সময় শহরের কাশিনাথপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে জামির হোসেন বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে জোর পূর্বক বিয়ের কনে মাসুরাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অপহরণকারী মেয়েটিকে শহরতলীর ইটখোলায় সোনালি ইটভাটায় আটকে রাখে। ভুক্তভোগীর পরিবার এ ঘটনার পর সদর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ বিকাল ৪ ঘটিকায় মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এ সময় সোনালি ইটভাটার ম্যানেজার জমির হোসেনের নেতৃত্বে ভাটার শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মেয়েটিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। অপহরণকারীদের হামলায় এসআই হাফিজ,এরশাদ,সাইফুল,ওমর সহ কয়েকজন কনস্টেবল আহত হন। পরে সদর থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অপহরণের শিকার মাসুরা খাতুন বলে ১২ বছর আগে মাগুরা সদর উপজেলা গ্রামের দুলাল মোল্লার ছেলে ফারুকের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে স্বামীর নির্যাতনের কারণে চার বছর আগে আমাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এই ঘটনার পর আমার পরিবার নতুন করে বিয়ে ঠিক করলে,পূর্বের স্বামী বারবার বাধা দিয়ে আসছে।

সোমবার একইভাবে আমার পূর্বের স্বামীর ইন্ধনে জজ আদালতে বিয়ের আসর থেকে আমাকে তুলে নিয়ে ভাটায় আটকে মারধর করে।

তবে এ ঘটনায় মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার পুলিশের উপর হামলা ভাঙচুর এবং গুলি বর্ষণর ঘটনা স্বীকার কর বলেন,অপহরণের খবর পেয়ে সোনালি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায় কয়েক জন মিলে মাসুরা নামের ওই মেয়েটিকে আটকে রেখে  নির্যাতন চালাচ্ছে । এ অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর পুলিশ ভ্যানে ওঠানো হলে ভাটা শ্রমিকরা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মেয়েটি ও তার ভাইকে মারধর করে। এ সময় তারা পুলিশের উপরও হামলা চালায়। অপহরণের ঘটনায় ব্যবহৃত ৪টি মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আরএস

Link copied!