নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
পিরোজপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব প্রিন্স হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নাজমুল হাসান নাইম কে ১১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দারাজ অনলাইনে একটি পণ্য অর্ডার করার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পালাতক আসামি নাজমুল হাসান নাইম কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম-পিপিএম।
গ্রেপ্তার আসামি নাজমুল হাসান নাইম (৩০) পিরোজপুরে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী এলাকার শফিকুল আলম হাওলাদারের পুত্র।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট পিরোজপুর শহরের আর্দশপাড়া এলাকার জাকির হেসেন সদার লিটনের পুত্র ১০ম শ্রেণীর ছাত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স নিখোঁজ হয়। পরে এ বিষয়ে ছাত্র প্রিন্সের বাবা পিরোজপুর সদর থানায় একটি জিডি করেন।
ঘটনার পরের দিন পিরোজপুর শহরস্থ সিআইপাড়া রায়ের পুকুর পাড়ের ছাত্র প্রিন্সের লাশ ভেসে ওঠে। পরে পিরোজপুর সদর থানায় নিহত প্রিন্সের বাবা ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার শেষে ২০১৭ সালে বিচারক এজাহার নামীয় ২ জন আসামি নাফিজ হাসান নাহিদ ও নাজমুল হাসান নাইমকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরো জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামি নাজমুল হাসান নাইম পলাতক ছিলো। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার সময় আসামি নাইম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে আরমান আর শুভ নাম ব্যবহার করে আসছিলো। কিন্তু ইন্দুরকানী পুলিশ একটি প্রতারণার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পালাতক আসামি নাইম নিজের নাম গোপন করে আরমান নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে।
পরে আসামি ও তার মায়ের নামের ১৯টি সিমে ব্যবহার করতো। এর মাঝে একটি সিম থেকে দারাজ অনলাইনে পণ্য অর্ডার দিলে পুলিশ সেই ঠিকানা সংগ্রহ করে ঢাকার ক্যান্টারমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এইচআর